ভারতের আধুনিক শিল্পে বিনিয়োগ ও উৎপাদন (১৯০০-১৯৩৯) | Bharater Adhunik Shilpe Biniyog O Uthpadan (1900-1939)

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
XVili আলোকপাত করলেও দীর্ঘসময় ধরে কেন বিত্তবান শ্রেণী শিল্পবিনিয়োগে args থাকবে, কখনই বা কেইন্স্‌ কথিত জৈবশক্তি তাদের প্রবল হয়ে উঠবে তার বিশ্লেষণের দিকে তিনি যান নি। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ wees উপর আলোকপাত করতে গেলে সমাজবিন্যাসের চরিত্র অনুধাবন করা অপরিহার্য । শিল্পের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে ভারতের নিজস্ব সমাজের অসাম্য ও সংঘাতও কাজ করবে এই ধারণা আমার যুক্তির মধ্যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। সমাজের অসাম্যের উদ্ঘাটনে এবং আধা-ধনতন্ত্রী পরশাসিত রাষ্ট্রের গঠন বুঝতে অবশ্যই সব চেযে সাহায্য পেয়েছি মার্কসের লেখাপত্র থেকে। কেইন্্‌সের মতই ভারতবর্ষ সম্বন্ধে মার্কসের লেখা সম্পূর্ণভাবে গ্রাহ্য নয়। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে যে নথিপত্র তিনি দেখেছিলেন, তা প্রায়ই শাসকশ্রেণীর চোখ দিয়ে দেখার ফসল। কিন্তু তার জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত এবং তার সারাজীবনের সহকর্মী ফ্রেডারিক এংগেল্স্‌ সম্পাদিত তৃতীয় খন্ড Capiral-~9 প্রমাণ আছে যে জীবনের শেষদিকে ব্রিটিশ শাসনের বৈপ্লবিক ফল সম্বন্ধে তিনি সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন। আমার এবং আমার মত আরও অনেক সমাজবিজ্ঞানীর কাছে মার্কস্‌ এবং এংগেল্সের শুরুত্ব তাদের লেখায় কী মত প্রকাশ পেয়েছে তাতেই সীমাবদ্ধ নয় বা সেই মতের ওজনই সবচেয়ে গুরু বলে মনে হয় না। তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তাদের প্রশ্নগুলি এবং সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে যে পদ্ধতি ভারা ব্যবহার বরেছেন সেই পদ্ধতিপুঞ্জ। গুপনিবেশিক ভারতে শিল্পের গঙিপ্রকৃতি বিচারে যেমন একটি প্রধান প্রশ্ন ছিল যে সেই শিল্পের নির্ণায়ক কারা। বিদেশী নির্ণায়কদের ব্যবসায়ের গন্ডী কী ছিল, তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল কী? কী কী কৌশল ব্যবহার করে তারা সেই লক্ষ্যের দিকে পৌছতে চেষ্টা করতো? সমান্তরালভাবে ভারতীয় পুঁজিপতিদের শ্রেণীর অবস্থান নির্ধারণ করে আমি বুঝতে চেষ্টা করেছিলাম কেন তাদের মধ্যে কিছু অংশ প্রথমে শিকল্পবিনিয়োগে অনগ্রসর ছিল এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক পটপরিবর্তনের কোন অঙ্কে তারা বিনিয়োগে অগ্রসর হয়েছিল। সেই বিশ্লেষণে কতটা আমি সক্ষম হয়েছিলাম তার উপর অনেক গবেষক তাঁদের ay দিয়েছেন এবং এই বাংলা সংস্করণের পাঠকগণ তাঁদের সুচিন্তিত রায় দেবেন বলে আমি আশা কবি। আমার এই বই বেরোনোর পর রজতকান্ত রায়, ক্রিস বেকার, ওষ্কার গোস্বামী, রাজনারায়ণ চন্দাবারকার, দীপেশ চক্রবর্তী, ক্লোদ মার্কোভিৎস্‌, কিয়োকাওয়া, রণজিৎ দাশগুপ্ত, নাসির তায়েবজী, কলিন Fare, পার্থসারথি গুপ্ত, aay সেন, সুনন্দা সেন, সুদীপ চৌধুরী, বিনয় বাল, সুমিত গুহ এবং আরও অনেক গবেষক ভারতের আধুনিক শিল্পে উৎপাদনের গতি-প্রকৃতির বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করেছেন। তাদের গবেষণার ফলে অনেক নতুন তথ্য আমরা পেয়েছি এবং অনেক যুক্তি ও তত্দ্বের বাঁধুনি আরও দৃঢ় হযেছে। আমি নিজেও কিছু নতুন সময়সীমা ও নতুন তথ্যের সাহায্যে গঁপনিবেশিক শিল্পায়নের গতিপ্রকৃতি এবং তার আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য বুঝতে চেষ্টা করেছি। ভরসার কথা এই যে নতুন গবেষণার ফলে আমার ১৯৭২-এ লেখা বইয়ের মূল বক্তব্যগুলো পরিবর্তন করার প্রয়োজন বোধ করি নি।



Leave a Comment