প্রথমনাথ বসু বাংলা রচনা সংকলন | Pramothnath Basu Bangla Rachana Sankalan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কেঁচো ২১ কেঁচোর শরীর বহু সংখ্যক ভাগে FASS | প্রত্যেক ভাগে যাতায়াতের সুবিধার জন্য কতকগুলি অতি ক্ষুদ্র কাঁটা থাকে। এত ক্ষুদ্র যে অনুবীক্ষণের সাহায্য ব্যতীত সূচারুরূপে দেখা যায় না। কিন্তু আঙ্গুল চালাইলে তাহাতে বাধে, খর্‌ খর্‌ করে। চলিবার সময় কেঁচোর পৃষ্ঠভাগে রক্তবৎ পদার্থে পরিপূর্ণ, সঙ্কোচনশীল একটা লম্বা নল দেখা AT | ইহার গঠন ও কার্য্য অত্যস্ত জটিল এখানে তাহার বর্ণনা করিব না। এই মাত্র বলিয়া রাখি, উহাতে রক্তের ন্যায় যে পদার্থ দৃষ্ট হয়, এবং কেঁচোকে কাটিলে যাহা নির্গত হয়, তাহা রক্ত নয়। যে জলীয় পদার্থ কেঁচোর বাস্তবিক রক্তের কাজ করে তাহা শাদা, রক্তের মত আদৌ দেখিতে নয়। কেঁচোর নিকট সম্বন্ধীয় জলবাসী অনেক কীটের শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য কণিকা আছে; তাহার শ্বাস প্রশ্বাস কার্য্য ছিদ্র বহুল গাত্র দ্বারা সমাধা হয়। কেঁচোর পুরুষ এবং নারী অঙ্গ দুই একত্রে প্রত্যেকে বিদ্যমান | কিন্তু তাহাদের পরস্পর সংযোগে নিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হয় না। প্রত্যেক কেঁচোর AST TASS পুরুষ ও নারীর সম্বন্ধ ভ্রাতা SAS ন্যায়; তাহাদের বিবাহ, ভিন্ন কেঁচোর নারী ও পুরুষের সহিত হইয়া থাকে। এই জন্য দুইটা কেঁচো পরস্পর সম্মিলিত না হইলে তাহাদের বংশ বৃদ্ধি হয় না। ৫। কৃষিকার্য্য -_-কেঁচো আপন বাসস্থানের জন্য বিবর খুঁড়িয়া, মাটি উলটিয়া পালটিয়া দিয়া বৃষ্টি ধারার প্রবেশের ও চালনার সুবিধা করিয়া দেয়। যেখানে তাহারা অনেকে থাকে সেখানে এইরূপ শত শত বিবর দেখিতে পাওয়া যায়। এই সকল বিবরের দরুণ জমি নিঃসন্দেহ অনেকটা সিক্ত থাকে, এবং কৃষিকার্য্যের সুবিধা হয়। কেঁচো ইট পাট্কেলের ন্যায় বছতর বীজ ভক্ষণ করিয়া থাকে। এ বীজ পরিত্যক্ত মলের সহিত বহির্গত হয়, তাহার উৎপাদিকা শক্তি কখনও কখনও অনেক দিন পর্য্যন্ত বেশ বজায় থাকে, কালে উহা gas হয়। কেঁচো জমি প্রস্তুত করিতে, এবং তাহাকে সারবান্‌ করিতে বড় AP | কোন স্থানে ইটপাটকেল কাকরাদি ছড়াইয়া aka, সে নিশ্নস্থ মাটি উঠাইয়া ক্রমশঃ উহাকে আবৃত করে। এই উত্তোলিত মৃত্তিকা অল্প অল্প করিয়া বৃদ্ধি পায়; কালে ইহা দ্বারা CHS শয্যোৎপাদক জমি তৈয়ার হইতে পারে। পূর্বেবে বলা হইয়াছে কেঁচো কিরূপে এবং কি জন্য জমির সহিত মিশ্রিত ছোট ছোট BBs খণ্ডাদি উদরস্থ করে। গাছপালার শিকড়ের নিকট হইতে এই সকল হানিজনক জিনিস এক একটা করিয়া বাহিরে সরাইয়া সে নিশ্চয়ই তাহাদের বৃদ্ধির বিশেষ আনুকূল্য করে। বিবরের মুখ বুজাইবার জন্য যে সকল পাতা জমির নীচে লইয়া যায় তাহা কালে পচিয়া উহার সহিত মিশ্রিত হয়। আবার, পাতা কেঁচোর একটি প্রধান খাদ্য | উদরস্থ পাতার টুকরা সকল হইতে শরীরের পোষণোপযোগী পদার্থ গৃহীত হইলে, অবশিষ্টাংশ মলের সহিতনির্গত হয়, ক্রমে মাটির সহিত মিশিয়া যায়, এবং তাহার উর্ব্বরতা বৃদ্ধি করে।



Leave a Comment