For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বপিনচন্দ্র পাল ১১ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়া যাহা সর্বদা আত্মপ্রকাশের প্রয়াস পাইয়াছে, সে
বস্তু এক, বহু নহে ; সে বস্তুর রূপ অনেক, কিন্তু স্বরূপ এক ৷ সেই
AAAS রবীন্দ্র-প্রতিভার প্রতিষ্ঠা । রবীন্দ্রনাথের প্রতিভাকে বুঝিতে
হইলে, সর্বাদৌ Sta এই ভিতরকার স্বরূপটিকে ধরিতে হইবে | আর আপনার স্বরূপে রবীন্দ্রনাথ জ্ঞানীও নহেন, কমাও নহেন,
কিন্তু কবি। এই কবি বস্তু কি, Stal দেখিলে চেনা যায়, কিন্তু
মুখে বলিয়া বোঝানো! সহজ নহে। BAUS. বাক্যকে কাব্য বলা
যাইতেও বা পারে, কিন্তু রসাত্মক বাক্য রচনায় নিপুণতা থাকিলেও,
কেই সত্য কবি নাও হইতে পারেন। চোখে যাহা দেখা যায় না,
তাহাই দেখ ; কানে যাহা শোন যায় না, তাহাই শোনা; যাহা
ইন্ডদ্রিয়-প্রত্যক্ষ নহে, তাহারই প্রত্যক্ষ লাভ করা, আর এ ASM
অতীন্দ্রিয় বিষয়কে প্রত্যক্ষ করিয়৷ ইন্দিয়-প্রত্যক্ষ রূপরসের সঙ্গে
তাহাদিগকে মিলাইয় দিয়া, WES অদ্ভুত ভাবদ্বগতের স্থষ্টি করা,
ইহাই কবির সত্যধর্ম। প্রকৃত কবি তর্ক করেন না, যুক্তি করেন না,
বিচার করেন না, আলোচনা ক্রেন না, কেবল আপনার অন্তশ্চক্ষুতে
সত্য ও সৌন্দর্য দেখেন, আর এই রূপে যাহা দেখেন, তাহাই ভাষার
তুলিকায় আকিয়! লোকসমক্ষে ধারণ করেন। এই Belfer দৃষ্টি
কবির প্রাণ। এইজন্য খষিদিগের ন্যায় কবিও দ্র কিন্তু দার্শনিক
নহেন, জ্ঞাতা কিন্তু বৈজ্ঞানিক নহেন। দারনিক সম্যক বিচারের
উপরে আপনার সিদ্ধান্তকে স্থাপন করেন । কবি os আত্মান্ুভূতির
উপরে সত্যের প্রতিষ্ঠা করেন। বিচারের জন্য চারিদিক দেখা
আবশ্যক । শুদ্ধ অনুভুতির জন্য এইরূপ সম্যক দর্শন নিষশ্রয়োজন। আমর]! আজিকালি যাহাকে বিজ্ঞান বলি--যাহা প্রকৃতপক্ষে
কেবল জড়বিজ্ঞান মাত্র--এই বিজ্ঞানও বিষয়ীকে পশ্চাতে রাখিয়া
বিষয়কেই সর্বদা আগাইয়! দেয়। জ্ঞাতার নহে, কিন্তু জ্ঞেয়ের প্রকৃতি
ও গুণাদির পরীক্ষা করাই এই বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য। স্বৃতরাং
এই বিজ্ঞান cory বিষয়ের বিশ্লেষণ করিয়া তাহার গুণ ও ক্রিয়াদি
আবিষ্কার করিতে ব্যস্ত। এই পথে যেভাবে যতটুকু সত্য পাওয়া