For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)দ্বিতীয় অধ্যায়
মানুষটির সন্ধানে শরংচন্দ্রের জীবনের অনেক অংশ ক্ষীণ রেখায় আকা। যখন তিনি বিখ্যাত, লোকচক্ষুর
সামনে সগৌরবে বর্তমান, তখন GCA PNY তার জীবন | কিন্তু যখন ABTA, উদাসীন,
বেপরোয়া-তখন তার সার্বিক আকার ছায়াচ্ছন্ন। জীবনের এ অংশের পুরো কথা বলতে
শরৎচন্দ্র স্বাভাবিক সংকোচ ছিল, কারণ তার অনেকখানি সামাজিক নীতি ও রুচির
পরিপন্থী। স্মৃতিগ্রন্থ এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত স্মতিকথার উপর নির্ভর ক'রে গড়ে
উঠেছে প্রতিষ্ঠিত শরৎজীবনী গ্রন্থ। সেখানে আমরা পেয়েছি : জম্ম-বাল্য-কৈশোর চিত্র জম্মেছিলেন দারিদ্র্যের কণ্টকমুকুট মাথায় পরে-- হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে,
১৮৭৬ Bora ১৫ সেপ্টেম্বর, আক্ষরিক অর্থে পর্ণকটারে। পরিবার দরিদ্র এবং
অনভিজাত। মাতা ভুবনমোহিনী দেবী অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল পরিবারের মানুষ, স্বামী
মতিলাল চট্টোপাধ্যায়ের অনটনের সংসারে সর্বংসহা দেবীমূর্তি। শরংচন্দ্রের আগে
জম্মেছেন দিদি অনিলা দেবী, পরে ভাই প্রভাসচন্দ্র, প্রকাশচন্দ্র এবং বোন PA কুটীর
কলরবে পূর্ণ। কিন্তু অন্ন কোথায়? গুছনো সাংসারিকতা মতিলালের মধ্যে ছিলনা ডিহিরিতে স্বল্প সময়ের চাকুরিজীবন
ছাড়া অন্য সময়ে তিনি ভাগলপুরে শ্বশুরবাড়ির আশ্রয়ে। সাহিত্যজীবন তার ছিল-
সেখানেও অস্থির। তার সাহিত্যসৃষ্টির আরম্ভ আছে, শেষ নেই। এ নিয়ে পরবর্তীকালে
পুত্র শরৎচন্দ্রের আক্ষেপ : “আমার পিতার পাণ্ডিত্য ছিল অগাধ। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা--
এককথায় সাহিত্যের সকল বিভাগেই তিনি হাত দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনোটাই তিনি শেষ
করতে পারেন নি। ...এখনো স্পষ্ট মনে আছে, ছোটবেলায় কতবার তার অসমাপ্ত
লেখাগুলি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছি। কেন তিনি এগুলি শেষ ক'রে যাননি,
এই বলে কত দুঃখই না করেছি।”* শরংচন্দ্রের ছাত্রজীবন বারেবারে Pfs | দেবানন্দপুরে প্যারী পণ্ডিতের পাঠশালা,
rata মাস্টারের স্কুল, ভাগলপুরে দূর্গাচরণ বালক বিদ্যালয়ের ছাত্র তিনি। দুরন্ত অথচ
CAIN ১৮৮৭-তে ছাত্রবৃত্তি পাশের পর ভাগলপুর জেলা স্কুলের সেভেনথ্ ক্লাস অর্থাৎ
বর্তমান চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হলেন, ডবল প্রমোশন পেয়ে উঠলেন ফিফথ ক্লাস বা ৫