For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এই পুস্তকে কবি ভারতবর্ষ ও জাতীয়তাবাদের প্রচলিত অর্থের
উর্ধে উঠিয়াছেন। তাই তিনি বৈপ্লবিক নেতা প্রথমের মুখ দিয়!
বলিতেছেন, 'আমার ভারত ও মানচিত্রের ভারতবর্ষ নয় রে অনিম।
আমাব ভারতবর্ষ, ভারতের এই yo দরিদ্ব fran পর-পদ-দলিত
তেত্রিশ কোটি মানুষের ভারতবর্ষ। আমার ভারতবর্ষ মানুষের যুগে
যুগে পীড়িত মানবাত্মার ক্রন্দনতীর্থ; ওরে, এ ভারতবর্ষ তোদের
মন্দিরের ভারতবর্ষ নয়, মুসলমানের মদ্জিদের ভারতবর্ষ নয়- এ
আমার মানুষের-মহামানুযের মহা-ভারত ।' নিরন্ন পদ-দলিত, শোষিত লোকদেরই fan যে ভারতবর্ষ, তাহ
পরের যুগের কবির সাহিতা আরও পরিক্ষট হয়। এই সময়ে কবিকে
শোষিত সর্বহারাদের প্রতিভু রূপে দেখিতে পাই। তাহার বীণার
নূতন asia ধ্বনিত হয়! তাই তিনি বলিতেছেন : 'সাম্যের গান গাই-_ আমার চক্ষে পুরুষ রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই ।' পুনঃ, এইরূপে তিনি 'কুষাণের গান. 'ধীবরের গান,” 'শমিকের
গান, 'সাম্যবাদের গান, 'মানমুষের গান” প্রভৃতি-_-গান তখনকার নব
প্রতিত ‘aire’ পত্রিকায় প্রকাশিত করেন। এই সব গানে তিনি
গণণ্রেণীদের দুঃখের কথা, তাহাদের উপর উচ্চশ্রেণীদের শোষণের
কথা ওজস্বিনী ভাষার বর্ণনা করিয়াছেন । এই সব গানগুলি আজ
সারা বালার সম্পত্তে হইয়াছে। এতদ্াতীত, তিনি বুর্জোয় সমাজের মাপকাঠি দ্বারা পাপ-পুণ্যের বিচার করাকে ঘৃণা করিয়াই
বলিয়াছেন ঃ “যত পাপীতাপী সব মোর বোন, সব হয় মোর ভাই
অন্যের পাপ গণিবার আগে নিজেদের পাপ গোনো ॥ এই SF ধরিয়াই তিনি আবার চোর-ডাকাতকে সম্বোধন করিয়।
বলিয়াছেন : ১৬