For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সহানুভূতি দেখাতে তার পাশে গিয়ে বসলাম, 'কি হলো, কি হয়েছে' জানতে চাইলাম | সে
যা বললো সাংঘাতিক, আগের রাতে একজনের কাছে এক বোতল হুইস্কির জন্য তার বউকে
বেচে দিয়েছে । আমি তখন বললাম, “তা হলে এখন বউয়ের জন্য অনুশোচনা হচ্ছে ।' সে
বললো, “তা হচ্ছে । বউ না থাকায় আজ খুব কষ্ট হবে, আজ মদ খাবো কি বেচে ?' দ্বিতীয় গল্পের নায়কের দেখা পেয়েছিলাম এই শহরেরই এক ক্লাবে | সেও শুকনো মুখে
বসে ছিলো | জিজ্ঞাস! করাতে বললো, বউয়ের সঙ্গে গোলমাল চলছে | আমি বললাম, 'তা,
ব্যাপারটা কি ? সে বললো, 'বউ বলেছে তিরিশ দিন আমার সঙ্গে কথা বলবে না ।' আমি
বললাম, “তা হলে তোমার ভালোই তো হলো ।' 'ডালোই তো হয়েছিলো', সে গেলাসে
একটি দীর্ঘ চুমুক দিয়ে দীর্ঘতর নিঃশ্বাস ছাড়লো, 'আজকেই মাস শেষ হয়ে গেলো,
আজকেই তিরিশ দিনেব শেষ দিন r মদিরা কথামালার আপাতত শেষ গল্পটি অবশ্যই ইদুরকে নিয়ে | একটি ইদুর একটি
বিড়ালকে নিয়ে একটি হোটেলে গেছে | সেখানে ইদুরটি পরিমিত এবং বিড়ালটি আকণ্ঠ
মদাপান করেছে | যখন নেশাগ্রস্ত বিড়ালটি এলিয়ে পড়েছে, তখন ইদুরটি বেয়ারাকে ডেকে
নিজের জনা এক প্লেট কড়াইশুটির অডরি দিলো | বেয়ারাটি ভদ্রতা করে জিজ্ঞাসা করলো,
'আপনার SR মিস্টার ক্যাট কিছু খাবেন না, Ga খিদে পায়নি ?' ইদুরটি বেয়ারাকে থামিয়ে
দিয়ে বললো, “SCS নিয়ে মাথা ঘামিয়ো না, মিস্টার ক্যাটের খিদে পেলে আমি কি আর এখানে থাকবো ?' টচলাইট একদা নিশীথকালে দুজন বিখ্যাত গুলিখোর একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল | ঘনঘোর
অন্ধকারে একজন গুলিখোরের হাতে একটি টর্চলাইট ছিলো | সেই টর্চলাইটে আলো
জ্বালিয়ে পথ দেখতে দেখতে দুজনে হাঁটছিলো | যেমন হয়ে থাকে দুজন গুলিখোর
পাশাপাশি হাঁটলে যা হওয়া উচিত, দুজনে মিলে উল্টোপাষ্টা আজগুবি সব গল্প করছিলো |
তাদের TST স্থান বেশ দূরে ছিলো, হয়তো নেশার ঘোরে তারা ঘুরপথেই যাচ্ছিলো |
অনেক অনেক হাঁটার পর এক গুলিখোর বললো, “এ যে কিছুতেই পৌঁছাচ্ছি না, এর থেকে
স্বর্গে যাওয়া তো সোজা | আর কত হাঁটবো রে বাবা ?- দ্বিতীয় গুলিখোর যার হাতে
টর্টলাইট ছিলো সে আকাশের দিকে লম্বালম্বি ট্চলাইটটার আলো ফেলে বলল, 'এ তো
স্বর্গ, সোজা পথ | আমাদের বাড়ির পথের মত অত ঘোরা রাস্তা নয় । যাবি ?' প্রথম ব্যক্তি
এই প্রস্তাবে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলো, সে বললো, 'এ আর বেশি কথা কি ? সোজা এই
আলো বেয়ে উঠে যাবো ।' সুড়ঙ্গের মতো টর্চলাইটের আলোটা সরাসরি অন্ধকার আকাশ
ভেদ করে উঠে গেছে, সেই উর্ধবপানে সে তাকিয়ে নিয়ে মালকোছা দিলো তার ধুতিতে
আলো বেয়ে স্বর্গে উঠে যাওয়ার জন্যে । তার পরেই কি যেন চিন্তা করে সে থমকে
দাঁড়ালো | ট্চলাইটধারী তাগাদা দিলো, “কি রে, কি হলো দেরি করছিস কেন ? লাইট টিপে ১৬