For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)দণ্ডক থেকে মরিচঝীপি ্ গিরিজা শহরের মোহে পড়েছে, আর এই ক্যাম্পের উন্নয়ন সমিতির কাজ করে দেখছে মাসে চাঁদা বাবদ
নিদেন হাজার পনেরো টাকা ক্যাশ হাতে আসে সুধাকাস্তদার। তার থেকে খরচা সামান্যই। এই মন্দিরতলা ওরাই বানিয়েছে মাত্র হাজার চারেক খর্চা করে। তাতেই
সুধাকাস্তকে এরা মালা পরিয়ে সেদিন অভ্যর্থনা করেছিল উদ্বোধনের দিন। গিরিজা মনে মনে হাসে! কৃপাসিঙ্কুও বলে-_সুধাদা ব্যবস্থাটা ভালোই করেছে। খর্চা মাসে দু-চার হাজার, বাকী--! ব্যাপারটা সুধাকান্তও জানে। রায়পুরে বেনামিতে বাড়িও করেছে। দুধের ব্যবসা বাড়ছে, এবার বেশ কয়েক একর জমি-কিনেছে শহর
থেকে দূরে, সেখানে চাষ বাড়ি করছে। ডায়েরী ফার্ম করবে জার্সি হলষ্টেন জাতের গাইও কিনেছে। FNM জানে একজায়গায় গাছ থাকলে মাটির গভীরে শিকড় চলে যায়, তায় মানুষ বলে কথা।
সুধাকাস্তর ভিতরের ব্যাপার জানে কৃপাসিন্ধু আর গিরিজাও। FMM তাই ওদের সরিয়ে দিতেই চেষ্টা করছে এখান থেকে। সুধাকাস্ত বলে--গিরিজা ওখানে তর জন্যে ঠিকাদারির কাজ ঠিক করেছি, ক্যাম্প-এর অনেক কাজ হবে। FAS আবার ঠিকেদারির কাজ করে, সেই কাজেই গিরিজা আর কৃপাসিন্ধুকে পাঠাতে চায়, বলে
সুধাকাত্ত, — IS টাকার কাজ, তোদের উপর ভরসা করি তাই কইছি। আর সাত একর জায়গা, সরকারি খর্চায়
বাড়িও পাবি, ক্যান যাবিনা? গিরিজা ভাবছে কথাটা। খবরটা তবু হাওয়ায় ভেসে আসে। হরিমগুপে তাই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নিশিকাস্ত বলে-_
সবই ঠাকুরের দয়া হে। দ্যাহে যদি বসতি পাও শরৎ, গোবিন্দ। এহানে আর কডা বছর থাকলি্ মান্যির
পরিচয়টা আর থাকবে নি! কথাটা সত্য। কারণ গোবিন্দ রামানুজরাও জানে । রামানুজ বলে, -_হক কথা কইছো নিশিদা। রায়পুর বাজারে গিই দরদাম করি জিনিযের ওরা কয়-_ইট্ যাগয়া
বাঙ্গালী। ভিখ্ মাংগকে খাও! আমরা হালা Wry ভিখারীর জাতেই নামছি। খাটি থাতি চাই---দেহি। শরৎ বলে-_দ্যাহো, A Wa জমি মেলে। নয়তো সব্বোনাশই হইব। কথাটা ভাবছে শরৎও! বাবা হয়ে তার আজ সংসারে কোন মর্যাদা যেন CAR গ্রামের ঘরে এটা ছিল
না। ফিরছে সে বাড়ির দিকে। একান থেকে দূরে যেতে পারলে যেন বেঁচে যাবে সে। পটলা ফিরছে বাড়ির দিকে। বেশ কিছুদিন থেকে সে চৈত সিং-এর ঠেকে মদ জোগান দিচ্ছে, ইদানীং
নিজেও পথে মাল নিয়ে যাবার সময় একটু আধটু চুমুক মেরে খেয়ে জল পুরে দেয়, মেঞ্জাজটা বেশ খুশী
খুশী লাগে। আর সিংজীর*তড়কা রুটি খেয়ে ফেরে। আজ মাত্রাটা একটু বেশী হয়ে গেছে। নগদ টাকা ক'্টাও মিলেছে। বাড়িতে পা দিতে শরৎ চাইল ওর
দিকে। সরৎ বলে, — ANT থাকস্? আর সেডা কোথায়? সেই ছেমড়ি? ললিতা স্বামীকে বলে--আইবো। গেছে কোথায়? শরৎ এখন থেকেই জমি বাড়ির দলিল যেন হাতে পেয়ে গেছে। বলে সে --এবার দেখমু তগোর।
জমিডা পাই। খাটতি হলে তহন বুঝবি, বসি বসি খাওয়া বড় মজার, না? পটলা বলে-_এক থা তো চিরদিনই শুনছি। এদিকে খাতি দিবার মুরোদ নাই, পথে পথে শ্যাল শুয়ারের
বাচ্ছার মত ঘুরছি।