ওপার কলকাতা | Opar Kolkata

১৮ ওপার কলকাতা ওখানে ছুটোছুটি করে। এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওকে দেয়। আবার ওর কাছ থেকে টাকা জোগাড় করে রেশনের চাল-গম ঘরে আনে। তবু পিতুর মাকে কেউ কোনোদিন St করতে শোনেনি 1 যা আছে আমার ভাগোযে, তাই তো হবে। মিছিমিছি হা-হুতাশ করে লাভ কী বলুন? পিতুর মা তার অভিজ্ঞতালন্ধ জীবন-দর্শনের কথ| এমনি সহজ সরল বিশ্বাসের সঙ্গে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করে। মান ছয় হ"ল ফুলবাগানের মোড়ে একটা ভালো কাজ পেয়েছে পিতুর মা। নইপে এতদিন এই বদসস্তবিলাস রোডে দু-তিন ঘরে বাসন মেজে যাট-সত্তর টাকার বেশী রোজকার করতে পারে নি। থেতে দিতে বাড়িতে ছ-সাতটি মুখ । বড় মেয়ে পিতু Aes প্রতিমা, স্ব'মী, বড় ছেলে মোহন, তার বউ,--এ ছাড়াও দুটি অপোগও্ড, নাবালক ৷ এতগুলি লোকের খাওয়া-পরা, রেগ-অস্তুথখ, ভালো" মন্দের একটা চিন্তা পিতুর মায়ের সঙ্গে সর্বদাই ছায়ার WS ঘোরে। তারপর ছোট দুটোর খাতা-পেক্সিল, বছরের শুরুতে বই-টই, আনুষঙ্গিক আরো কিছু খরচপত্র বেড়েই চলেছে। তা মাইনে না লাগলে কী হয় ? এদিকে খাজনার চেয়ে নাজমা যে ক্রমেই বেশী হয়ে OH | স্কুলে পডাপ্তনো নামমাত্র। বাড়িতে প্রাইভেট মাস্টার না দিলে অধিকাংশ ছেলেই যে পরীক্ষার বেডা ডিঙডোতে পারতে না, সেকণা প্রায় সকলেই এখন স্বীকার করে নিয়েছে। খুঁডিয়ে খুঁড়িয়ে কোনোরকমে ated চলে। পিতুর বাবা একটা কার" খামায় কাঙ্গ করে। ছোট কারখান] ৷ তবু VST ASIANA টাকা হাতে পাওয়ার কথা। কিন্তু কাজ থাকে না বলে মানুষটাকে মাসে দশ-বারো দিন বদলিয়ে দেয়। বর্ধাকালে বাঙ্গার তেমন মন্দা হ'লে পনের-কুড়ি দিনও caste থাকে । একবার কারখানার লকআউট না কী যেন হ'ল। পিতুর বাবাকে তখন aca তিনটি মাস বমে থাকতে হয়েছিল ৷ সে এক অথাস্তর অবস্থা। হাতে পয়স[কড়ি শেষ ৷ হপ্তার রেশনটুকু ঘরে তুলতেই নাজেহাল । বাজারে ধার" CH) লোকের কাছে হাত পাতলে মুখ ফিরিয়ে নিত । মস্ত মুদির দোকানে একদিন মুখের ওপর বলে দিল, _'আর ধার-টার নয় গো। এখন নগদ টাকা দিয়ে জিনিস নিয়ে যাবে, বুঝলে ?' তা সত্বে ও পিতুর মা কোনোদিন মুখ ভার ara থাকে ft পড়শীদের সঙ্গে দেখা হলেই একগাল হাসি। কলকল কথা। ভগবান এবার মুখ তুলে চাইবেন বৈকি। শুনছি সামনের cata ফের কারখানা খুলবে। একবার পিতুর বাবা কাজে গেলেই নিশ্চিস্তি । সংসারে আর কোনো ভাবনা চিস্ত! থাকবে না। তবে অবস্থা এখন অনেক ভালো বছর খানেক হ'ল পিতুও একটা কাজে