কিরণধন চট্টোপাধ্যায়ের কাব্যসংগ্রহ | Kirandhan Chattopadhyayer Kabyasangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
(১৬) কিরণধন চট্টোপাধ্যায়ের কাব্যসংগ্রহ আমি প্রস্তত--আয় জল্লাদ-_ফাসি-কাঠে নিয়ে চড়া, তৃচ্ছ শরীর কৃমির ভোগ্য রক্ত-মাংসে গড়া! [ফাসির আগে] গুপ্ত ছিল হয়তো আমার সুপ্ত চেতনায় লালসার এই বিষের চারা ফোটার অপেক্ষায়! জমিদারের ছাওয়াল যিনি করলেন আমায় বার, আজকে তিনি সমাজ-নেতা কাউনল্সিলে-মেম্বার! কন্যাদায়ে-বন্যাদায়ে মুক্ত তাহার হাত, বলিহারি, সাবাস তারে, ক্যাবাৎ! ক্যাবাৎ! এক যাত্রায় পুরুষ-নারীর ফললো পৃথক ফল, বেঁচে থাকো সমাজ তুমি-_নাড়চো খাসা কল! নরকের এই পিছিল পথে দৈবে যারা হায়, পা দিয়েছে প্রলোভনের প্রবল তাড়নায়, ভুল করেছে অসাবধানে-_সুযোগ-অবসর সমাজ কোথা দেবে তাদের, যাতে অতঃপর আর না তারা করতে পারে তেমনতর ভুল-_ তা নয় সমাজ তাদের বুকে হান্চে APTA! বন্ধ করে দিচ্চে তাদের শুধরে নেবার পথ! বেঁচে থাকো সমাজ তুমি, তোমায় দন্ডবৎ! [বে্শ্যো] এই ধরনের কবিতা-প্রসঙ্গে Flare বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, 'কিরণধনের Boia কবিতাটি যে কেউ পড়বেন...চোখের জল আটকে রাখতে পারবেন না। ভাগ্য-বঞ্চিতদের অভিমুখে সকলের চোখ ফেরালেন কিরণধন।'৪ a] শতাব্দীর জড়বাদী WACOM যন্ত্রণার বিরুদ্ধে, সমসাময়িক বাঙালি-সমাজের ব্যাপক আত্তরিকতাহীনতার বিরুদ্ধে কবি অনেকওলি কবিতা লিখেছেন। এখানে দৃষ্টান্ত-হিসেবে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা যায় : আদিম যুগের বর্বরতা ঘুচলো নাকো একটু আজও, এখনও সেই হিংস্র পশুর মত, পরস্পরের টুটি টিপে তেমনই করিস ছেঁড়াছিড়ি নিষ্ঠুরতার চিহ্ন এঁকে শত। বর্বরেরা রাগের মাথায় জ্বলে উঠে আগুন-সম সটান ছুরি বসিয়ে দিত রুখে; রাষ্ট্রনীতির-সমাজনীতির ধর্মকথা কয়ে তারা শয়তানিটা পুষতো নাকো বুকে।



Leave a Comment