প্রবন্ধ-সংগ্রহ [সংস্করণ-১] | Prabandha-samgraha [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
he ভূমিকা ও মানসিক আভিজাত্য যেমন সংস্কৃত সাহিত্য থেকে তার মনে বিশেষভাবৈ সংক্রামিত হয়েছিল, তেমনি পুরাতন দিনের কবিভাষাকেই তিনি গছরীতির একটি প্রধান উপকরণ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। বলেন্দ্রনাথের গদ্ধরীতির উপর তাই সংস্কৃতসাহিত্যের বর্ণময় ভাষা, WIA ও শ্বসম্পদের প্রভাব অনস্বীকার্য । বলেন্দ্রনাথের রচনাবলীর শ্রেণীগতবৈচিত্র্য কম নয়। কিন্তু এই বিচিত্র শ্রেণীর spat একটি মুলভাবের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই মূলভাবটিকে তার সাহিত্যজীবনের মূল AE বললেও অত্যুক্তি হয় না। সৌন্দর্যপিপাসাই তার কবিজীবনের মূল স্বর fia সাহিত্য সমালোচনায়, এঁতিহাসিক চিত্র রচনায়, সামাজিক প্রবন্ধে, এমন কি দৈনন্দিন জীবনচর্ধার মধ্যেও তিনি সৌন্দর্যের মোহমন্ত্রট, আবিষ্কার করেছেন। আচাধ রামেন্দ্রসন্দর বলেছেন : “cata আবিষ্কারই তাহার প্রধান কার্য ছিল। যে সৌন্দয AIT চোখে প্রকাশ পাইত না, তিনি তাহা বাহির করিয়া আনিয়া দেখাইয়৷ দিতেন ।”১* বপেন্দ্রনাথের পৌন্দযদর্শন সম্পর্কে আর একজন সমালোচকের THI উল্লেখযোগ্য ঃ “তাহার কবিমন Beers খণ্ডিত করিতে, সৌন্দয নিঙডাইযা তত্ব বাহির করিতে অত্যন্ত AG বোধ করে। সৌন্দর্য জগৎ ব্যাপার্ের পরিণ।ম ও পরা নিয়ম, ইহাই যেন তাহার ধারণা । সৌন্দযে fra দর্শনই মানবভজাবনের মহৎ কর্তব্য, ইহাই যেন তিনি বলিতে চাহেন। সৌন্দর্যদর্শনের ও সৌন্দ্যভোগের এমন কীট্সীয় দৃষ্টি ও মন asa আর কোনে বাঙালি লেখক ভন্মগ্রহণ করেন নাই ।”১॥ বলেন্দ্রনাথ যেন কাটূসের মতোই বলতে পারতেন-“[] have loved the principle o: beauty in all things.” সৌোন্দর্যসন্তেগের wie দৃষ্টি ও ইন্দ্য়সচেতন বূপপিপাস] বলেন্দ্রমানসের প্রধান উপকরণ | কিন্তু তার এই বিশিষ্ট প্রবণতার মধ্যে প্রগল্ভতা বা অসংযম ছিল না। বলেন্দ্রনাথের সৌন্দযস্পৃহা We, স্বভদ্র ও সংযত ।-_অনেকথানি 'আধ্যাত্মিক জাতীয় । অথচ তিনি সচেতনভাবে কোনে নীতি প্রচার করেন নি। বলেন্দ্র- নাথের সৌন্দয্লন্ম্রী তাই তার” ভাবস্থির অচঞ্চল হৃদয়পদ্যাসনে এক AEG ভারসাম্য অধিষ্ঠিতা। বিশ্বপ্রকৃতি, ললিতকলা বা অতীত ইতিহাসের মধ্যেই *বলেন্দ্রনাথ তার স্থন্দরকে অগসন্ধান করেন নি, আমাদের অতিসাধারণ লৌকিক জীবনের মধ্যেও তিনি সৌন্দর্য- ১৩ । বলেন্দ্রনাথেব “গ্রন্থাবলী'বৰ (আগস্ট ১৯*৭ ) ভূমিকা | ১৪ । বাংলার লেণক : প্রমথনাথ বিশী, পৃ ৮২ |



Leave a Comment