For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সংস্কৃত চর্চা ২ শ্রীযুক্ত 'অলকা' সম্পাদক মহাশয় সমীপেষু, গেল মাসে “মাসিক PETS! দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন তো নিশ্চয়ই লক্ষ
করেছেন যে, শ্রীযুক্ত প্রমথ চৌধুরী সম্প্রতি মহা ee হয়ে উঠেছেন। তিনি
দেশসুদ্ধ লোককে সংস্কৃত চর্চা করতে উপদেশ দিয়েছেন। কিন্তু মজার কথা এই
যে, যাঁর সংস্কৃত সাহিত্য চর্চা করবার সহজ প্রবৃত্তি আছে সে ব্যক্তিও প্রমথ
চৌধুরীর উপদেশ শুনে ভড়কে যাবে। তিনি বাঙালিকে সংস্কৃত কাব্যালোচনা থেকে
বিরত করে, শাস্ত্রালোচনা করতে পরামর্শ দিয়েছেন। জয়দেবের গীতগোবিন্দের
বদলে তিনি আমাদের কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র পড়তে বলেছেন। Cite তিনি
উপনিষদ, মনুস্মৃতি, মায় মেধাতিথির ভাষ্য, সংক্ষেপে ধর্মশাস্ত্র ও মোক্ষশাস্ত্রও
আমাদের ওষুধ হিসেবে গিলতে বলেছেন। তার হঠাৎ এ মতি হল কেন? প্রমথ চৌধুরীর যে শিক্ষাবাতিক আছে, তা
তিনিই জানেন যিনি তার লেখার সঙ্গে পরিচিত। তিনি ইংরাজি শিক্ষার সপক্ষে
বহুদিন থেকে লড়ে আসছেন। সে যুদ্ধে তার পক্ষের হার হয়েছে। ইংরাজি
শিক্ষাই যে ভারতবর্ষের যত অনর্থের মূল, এমনকী ম্যালেরিয়ার বীজও যে ইংরাজি
পুথির মধ্যেই আছে, আজকের দিনে তা খবরের কাগজে ও বক্তৃতার ক্ষেত্রে প্রমাণ
হয়ে গিয়েছে। সেদিন তার একটি MSc. বন্ধু প্রমথ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করেন
যে, বাঙালি যদি শেক্সপিয়র মিলটন পড়ে অমানুষ না হত, তা হলে কি ইংরাজ
পলাশীর যুদ্ধ জিততে পারত? এ প্রশ্ন শুনে ভদ্রলোক একেবারে অবাক হয়ে
গেলেন, অর্থাৎ তার বাকৃরোধ হল। এর পর তাঁর ধারণা হয়েছে যে কলিকাতা
বিশ্ববিদ্যালয় এ ফেরা তার Sot কটিয়ে উঠতে পারবে না। যখন ইউনিভারসিটি
গেল, তখন আবার “টোল' বসানো যাক-_ এই হচ্ছে তার মনোগত ভাব। শিক্ষা-
বাতিক্গ্রস্ত লোক, শিক্ষার অভাবে চোখে অন্ধকার দেখেন। এই কারণেই প্রমথ
চৌধুরী সংস্কৃত শাস্ত্রের গুণগান করতে শুরু করেছেন। প্রমথ চৌধুরী দেশসুদ্ধ
লোককে শাস্ত্রী করে তুলতে চান-_ কিন্তু টুলো পণ্ডিত করতে চান না। ইংরাজি
শিক্ষার ফলে ও-রূপ পাণ্ডিত্যের বিরুদ্ধে আজও তাঁর মনে, দেখতে পাচ্ছি বিলেতি প্রমথ চৌধুরী।। অগ্রষ্থিত রচনা ২।৷ ১৮