হিমালয়ের মানুষ | Himalayer Manush

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তারপর রোগ যতই বাড়তে থাকে নিজের দাওয়াই ততো বেশি করে খেতে থাকে । মেডিকেল ইউনিটে কাজ করে বলে ওর ধারণা হয়েছিল ঠিক ওষুধই যাচ্ছে। শেষে হিতে বিপরীত । রোগ জটিল হয়ে গেল । নিউমোনিয়া । বুকে চাপা সদদি আর জ্বরণ পেচ্ছাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে আছে সকাল CATS | বাঁচবে তো? জিজ্ঞাসা করলাম। -_-বলা মুশকিল । তবে ওষুধ ধরলে কি হয় বলা যায় না। ওর কাছে দিন সাতেক থাকতে পারলে হয়তো বাঁচানো cas | সকালে উঠেই যাত্রার আয়োজন করলাম। আজকের পথ চড়াই আর চড়াই | যেতে হবে আট হাজার ফুট Bp ঢাকুরিতে ৷ ' লোহারক্ষেত ছেড়ে বেরুতে বেশ দেরি হয়ে গেল ৷ গতকাল রাতে 'মালবাহকরা যে যার রাত কাটাতে গিয়েছিল তাঁই ফিরতে অনেক দেরি হল ওদের ৷ মাসখানেক ওরা থাকবে ঘরের বাইরে । আত্মীয় পরিজন থেকে অনেক দূরে স্বন্দরডুঙ্গার গহন অন্দরে। ডাকবাংলো থেকে বেরিয়ে গ্রামটাকে বাঁয়ে রেখে চড়াই পথে উঠছি। সরকারী পথ। চলার অনুবিধা নেই। কিন্তু রোদ ওঠার জন্য আর Gey চড়াই বলে পরিশ্রাস্ত হয়ে পড়ছি। গ্রামের সীমানা শেষ হবার মুখে অনেক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে আমাদের বিদায় জানাতে এসেছে | এসেছে মালবাহকদের বউ- ছেলে-মা। এনেছে তারা নানা খাবার ও মিষ্টান্ন। ওদের সঙ্গে আমরাও ভাগ পেলাম। সবার শেষে গত রাত্রের সেই মেয়েটি এল। ডাক্তারকে বলল, ওর স্বামী এখন কিছুটা FRI রাতে পায়খানা পেচ্ছাব হয়ে গেছে। তবে চোখ চাইছে না বা কথাও বলছে না। রোগীর রিপোর্ট” শুনে ডাক্তারের মুখ উজ্জ্বল । ব্যাগ থেকে কটা ট্যাবলেট বার করে মেয়েটিকে দিল। আমার দিকে ফিরে বলল, হয়তো এ-যাত্রায় বেঁচে গেল |



Leave a Comment