আন্দামান - ব্রিটিশ-ভারতের বাস্তিল | Andaman - British-bharater Bastil

প্রাক্কথন আমাদের জাতীয় বিপ্লবী আন্দোলনের কাহিনী এ aca এক অভিনব এবং অসামান্য দৃষ্টিকোণ থেকে বল হয়েছে। একটি বিশেষ Ste কারও কাছে নেহাতই মানচিত্রের একটি অংশ, কারও কাছে T1 সে ভূখণ্ড ভৌগোলিক-রাষ্ট্রনৈতিক কৌতুহল জাগায়, অনেকের কাছে সে ভূখণ্ড TS) এক তীর্থস্বরূপ এবং তার বেশি কিছু নয়। এ গ্রন্থে seein দুজন আন্দামানকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে আমাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক আঙ্পুবিক ইতিহাস রচনায় প্রয়াসী হয়েছেন | বঙ্গোপ- সাগরের এক প্রান্তে অবস্থিত এই দ্বীপটি ১৮৫৭ সালের মহা জাগরণ থেকে শুরু করে ১৯৪৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ যেদিন নেতাজী স্মভাষচন্দ্র ay ওই দ্বীপে জাতীয় fart পতাকা উত্তোলন করেছিলেন--সেই দীর্ঘ কালের জাতীয় আন্দোলনের নানা এতিহাসিক এবং নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী | গ্রন্বকারদ্বয় TA WY বছ তথ্য সংকলন করেছেন - প্রায় AHS বছরের মধ্যে ভারত উপমহাদেশ-আলোড়নকারী নানা বিদ্রোহ এবং অদভ্যুষানের সঙ্গে জড়িত বহু বন্দী এবং শহীদের নাম এখানে সংকলিত হয়েছে । ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিদ্রোহ আর অভ্যুথানগুলি ছিল গুঁপনিবেশিক অধীনতা-পাশবদ্ধ এক প্রাচীন জাতির পুনর্জাগরণজাত বিস্ফোরণের মতো 1 এ-সব বিস্ফোরণ ভারতের বিভিন্ন প্রাস্তে, এমন-কি ভারতের সীমানার বাইরেও ঘটেছে | তার প্রতিস্পন্দন সমগ্র ভারতীয় ভৃথগুকে সচকিত করেছে, আবার তা আন্দামান, বিশেষ করে তার কুখ্যাত সেলুলার বন্দীশিবিরকে ছু'য়েছে। সেখানে বিপ্লবী বন্দীরা নির্মম নির্যাতন এবং মৃত্যুবরণের পথে স্বাধীনতার Yrs দিতে বাধ্য হয়েছেন । মনে রাখা প্রয়োজন যে আন্দামান সেলুলার জেলের যন্ত্রণাবিদ্ধ কঠস্বর ভারতবর্ষের মূলে ভূখণ্ডে পৌঁছতে কিছু সময় লেগেছিল | আমার স্পষ্ট মনে পড়ে ১৯৩৭ সালে আন্দামানের বিষ্লবী বন্দীরা কেমন করে, ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীরা সেখানে যে অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন সে ১১]