For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)উমার জন্ম ATT বা ঈশ্বর বা aw Beata প্রকৃতি বা মহাশক্তির সৃষ্টি
করিলেন ৷ তিনি ত্রহ্মশক্তি, প্রকৃতিরূপা মহামায়া--মাতৃকারূপিনী 1 ইহাকেই
আদ্যাশক্তি বলা sa) থাকে as কথায় ইহাকে মাতৃদেবী বা শক্তিদেবী
বলা যায়। ভারতে ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই শক্তি বা মাতৃদেবীর
পরিকল্পন] ও পৃজাবিধি পরিলক্ষিত হয় । প্রাচীন ভারতবর্ষে Fg সভ্যতায় ও বৈদিক সাহিত্যেও এই মাতৃদেবীর
পরিকল্পনা রহিয়াছে । acura দেবীসুক্ত ও রাত্রিসূক্তে এবং সামবেদের
রাত্রিসৃক্তে শক্তিবাদের পরিচয় মেলে ৷ খমশ্বেদে ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্ত্র আছে ।
দেবীর বিভিন্ন মৃতি ৷ বেদ-পুর।ণ, উপনিষদ ও বিভিন্ন তন্ত্রে শক্তিদেবী বিভিন্ন
নামে অভিহিতা । কোথাও তিনি ভুবনেশ্বরী, কোথাও পৃথিবী দেবী, কোথাও
সাবিত্রী, কোথাও ভদ্রকালী, কোথাও তিনি চণ্ডী, পার্বতী-উমা-দুর্গা-কালী
ইত্যাদি। সকল মাতৃদেবীই এক মহাশক্তির বিবর্তিত রূপ। আর Fhe
স্থিতি-প্রলয়রূপিনী আদিড্ুূতা বিশ্বজননী ব্রহ্মশক্তি কিন্তু aa হইতে পৃথক
নহেন-_-অভিন্ন। কালবিশেষে তিনি ভিন্ন ভিন্ন মৃতি পরিগ্রহ করিয়া
দেবতাগণের ও জীবকুলের মঙ্গলার্থে লীলা প্রকটিত করিয়] বন্দিত] ও পৃজিতা
হইয়াছেন | ডঃ শশিভূষণ দাশগুপ্ত মহাশয় তাহার “ভারতের শক্তি-সাধন৷ ও w]e
সাহিত্য” গ্রন্থে এই শক্তিদেবীর আলোচনা প্রসঙ্গে বলিয়াছেন-_ “এই মাতৃদেবী বা শক্তিদেবীর প্রাচীন ধারা লক্ষ্য করিলে মনে হয় দেবীর
প্রাচীন ধারা মুখ্যভাবে দুইটি :--একটি হইল শস্য প্রজননী এবং ভূতধারিণী
পৃথিবী দেবীর ধারা ; অপরটি হইল এক পর্বতবাসিনলী. সিংহবাহিনী দেবীর
ধারা, যিনি পরবর্তীকালে পার্বতী, গিরিজ1, wire বা অদ্রিকুমারী, শৈলতনয়)
নামে খ্যাতা। এই পার্বতীই হইলেন উমা | মহাভারতে পাওয়া যায়-_-“প্রথমে দেবী বিদ্ধ্যাচলের অরণ্যবাসিগণ কর্তৃক
কুমারী রূপে পৃজিত৷ ৷ শীঘ্রই তিনি শিবসঙ্গিনী রূপে পরিগণিত! এবং
উমা রূপে পরিচিতা হন ।” ( শ্রীশ্রীচণ্ডীর ভূমিকা-_জগদীশ্বরানন্দ )। পণ্ডিতগণ ‘Say শব্দের বিভিন্ন ব্যাখ্যা! দিয়াছেন। কেহ বলেন 'উ.
শব্দের অর্থ শিব আর ay শব্দের অর্থ স্ত্রী । তাই “উমা” হরজায়া, শিবানী ।
তিনি আবার শিবের “মননকারী” (মা শব্দের মননকারী অর্থে) বা “পরিমাপক'” ব. বি.শ্যামা-সঙ্গীত/৩২-১