আরণ্যক [সংস্করণ-৪] | Aranyak [Ed. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ আরণ্যক কতদিন তাহার দোকানে দীাড়াইয়! পুরাণো বই ও মাসিক পত্তিকার পাতা' উপ্টাইয়াছি--কেন| উচিত ছিল হয়ত, কিন্তু কেনা হয় নাই--সেও যেন পরম আত্মীয় বলিয়া] মনে হইল--তাহাকে আজ কতদিন দেখি নাই | কাছারিতে ফিরিয়া নিজের ঘরে ঢুকিয়৷ টেবিলে আলো জ্বালিয়৷ একখানা বই ata বসিয়াছি, সিপাহী মুনেশ্বর সিং আলিয়৷ সেলাম করিয়া দীড়াইল | বলিলাম-রিি মূনেশ্বর ? ইতিমধ্যে দেহাতি হিন্দী কিছু কিছু বলিতে শিখিয়াছিলাম। মুনেশ্বর বলিল-_হুজুর, আমায় একখানা লোহার কড়া কিনে দেবার হুকুম যদি দেন BEAT বাবুকে | “কি হবে লোহার কড়া? মুনেশ্বরের মুখ প্রাপ্তির আশায় উজ্জ্বল হইয়৷ উঠিল । সে বিনীত সুরে বলিল--একথানা লোহার কড়া থাকলে কত স্থবিধে হুজুর । যেথানে-সেখানে সঙ্গে নিয়ে গেলাম, ভাত রাধা যায়, জিনিসপত্র রাখা যায়, ওতে ক'রে ভাত থা ওয়া যায়, ভাঙবে না। আমার একখানাও soi নেই । কতদিন থেকে ভাবছি একখানা কড়ার কথা--কিন্তু হুজুর, বড় গরিব, একখানা কড়ার দাম ছ আনা, অত দাম দিয়ে sui কিনি কেমন করে? তাই হুজুরের কার্চে আসা, অনেক দিনের সাধ একথানা Soi আমার হয়, ছজুর যদি মঞ্জুর করেন, হুজুর মালিক | একখানা লোহার কড়াই যে এত গুণের, তাহার জন্য যে এখানে লোক | রাত্রে স্বপ্ন দেখে, এ ধরণের কথা এই আমি প্রথম শুনিলাম। এত গরিব লোক পৃথিবীতে আছে যে ছ"আনা দামের একখানা লোহার কড়াই জুটিলে স্বর্গ হাতে পায়? শুনিয়াছিলাম এদেশের লোক বড় গরিব। এত গরিব তাহ জানিতাম না। বড় মায়! হইল I পরদিন আমার সই-ক্রা চিরকুটের জোরে মুনেশ্বর সিং নউগচ্ছিয়ার বাজার



Leave a Comment