কবির সঙ্গে দাক্ষিণাত্যে | Kabir Songe Dakshinatye

২ অধ্যাপক মহলানবিশ তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, “না, না, আমি শুধু আপনাকে একবার দেখতে এলাম । রানী এখন আপনার কাছে থাকবে; ওর ফিরে যাবার কিছু দরকার নেই ।” খুব খুশি হয়ে আমার হাতখানা ধারে বললেন, “তবু ভালো; আমার কিরকম ভয় লাগে এই বুঝি পালাবে। দ্যাখো, তোমরা কাছে থাকো, একটু গল্পসল্প করে খুশি থাকি। খাবার সময় বলো৷ “এটা খান ওটা খান, আহা ! অতটুকু খেয়ে বাঁচবেন কেমন করে১+-- শুনতে কেমন মিষ্টি লাগে। তা না, এসেই কেবল যাই যাই ”” উনি বললেন, “না, না, ও এখন যাবে না। সত্যি আমি ওকে নিতে আসিনি, শুধু আপনাকে দেখতে এসেছি I”) “খবরট! তো ভাল শোনাচ্ছে। আচ্ছা, এইবারে তাহলে তুমি গাড়ির কাপড় ছেড়ে হাতমুখ ধুয়ে নাও গো। রানী, নাইবার ঘরে সব ঠিক আছে তো?” “Sy, সব ঠিক আছে” ব'লে উনি নেবে গেলেন। কবি আমাকে বললেন, “তুমি হচ্ছ আমার সব শেষের বন্ধু। জানি, আর সকলে চ'লে গেলেও তুমি যাবে না।” সেদিনও জানি না যে আর মাত্র একমাস উনি আমাদের কাছে থাকবেন | রাত্রে খাবার টেবিলে অনেক লোক। ইন্দিরা দেবীরা, আমরা, মীরাদি, মৈত্রেয়ী--টেবিল ভর! ৷ খেতে ব'সে নানান AST কথাবার্তার মাঝে ১৯২৮ সালে কবির সঙ্গে FRA ইত্যাদি যাওয়ার গল্প উঠল । সেবারে অনেক ASA মজার মজার ঘটন৷ ঘটেছিল-_তার মধ্যে we we সাহেবের পাগলামিও অনেক ছিল যা ব'লে অনেকবার অনেক লোককে আমরা হাসিয়েছি। সেদিনও অধ্যাপক সেইসব গল্প বলে সবাইকে খুব হাসা[লেন।