মহিলা-সম্পাদিত বাংলা সাময়িক সাহিত্য-পত্রিকা | Mahila-sampadita Bangla Samayik Sahitya-patrika

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মহিলা-সম্পাদিত বাংলা সাময়িক সাহিত্য-পত্রিকা অসুখী-- এরা ঘরে গিয়ে স্ত্রীর কাছে সুখ ও মানসিক শাস্তি পান না। যারা A শিক্ষার বিরোধিতা করছিলেন, তাদের লক্ষ্য করে “জ্ঞানাহ্কুর পত্রিকা' লিখেছিলো-_ ছেলেদের শিক্ষা দিও না, তাহলে মেয়েদেরও শিক্ষা দেবার দরকার হবে না। PPPS প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সমাজের একটা অংশে সচেত্সতা জেগে উঠলেও মহিলাদের শিক্ষা এবং আধুনিকতা সম্পর্কে সেকালের সমাজের বিরোধিতা ছিল সুতীব্র । QA স্কুল সরকারী আনুকৃল্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত ছাত্রী থ্যা ছিল নগণ্য | হরদেব চট্টোপাধ্যায়ের মত যারা স্কুলে কন্যা দিয়েছিলেন, তারা সমাজের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য পুলিশ ডাকতেও বাধ্য হয়েছিলেন ঈশ্বরগুপ্তের মত অনুগত ব্রিটিশ প্রজাও বেধথুন স্কুল স্থাপিত হলে তার প্রতি বিরোধিতা প্রকাশ করেছিলেন। সুতরাং বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন এবং তা পরিচালনা করা GOS কঠিন কাজ ছিল। স্কুলের শিক্ষিকা জোগাড় করাও ছিল দুঃসাধ্য। সীমিত ALAS নাগরিকের মধ্যে সচেজতা দেখা দিলেও স্ট্রীশিক্ষার আয়োজন করতে এবং মহিলাদের পক্ষে সেই শিক্ষা গ্রহণ করে লাভবান হতে অনেক সময় লেগেছিল। এমনকি যাঁরা ইংরেজ আমলের ae ইংরাজী শিক্ষার সূফলভোগী হয়েছিলেন, তারাও স্ত্রীশিক্ষার নামে বিচলিত বোধ করতেন। সমাজের প্রতিকূল মনোভাবই বোধ হয় স্ত্রীশিক্ষা বিকাশের সবচেয়ে প্রবল OATH ছিল।তখন সমাজে অবরোধ অথবা পর্দাপ্রথা যে কি ভীষণ ছিল রাসসুন্দরী, বকৈলাসবাসিনী, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী এবং বেগম রোকেয়া তার অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন । মেয়েরা চিরকাল অস্তঃপুরে বন্দী থাকতেন, তাদের কোথাও যাবার অনুমতি ছিল না, দিনের বেলা কোন পুরুষের, এমনকি স্বামীর সঙ্গেও দেখা করার রীতি ছিল না। স্ত্রী শিক্ষা বিকাশের এটাও কিছু কম অন্তরায় ছিল না। কেবল তখন পুরুষদের সঙ্গেই নয়, পর্দা পালন করতে হত শাশুড়ী এবং এ জাতীয় অন্য মহিলাদের সঙ্গেও। হিন্দু সমাজে মেয়েদের ৭/৮ বছর বয়স হলেই বিয়ে হয়ে যেত এবং বিয়ের পরেই অস্তঃপুরে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করতে VG | মুসলমান মেয়েদের FANG GAS হতো তারও আগে থেকে। যদিবা কোন পরিবারের মেয়েদের লেখাপড়া শেখার সুযোগ থাকত, কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হত না। অতি অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে অন্তঃপুরে অবরুদ্ধ হবার ফলে বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া শেখা সম্ভব ছিল না। তাই নারীশিক্ষা, নারী স্বাধীনতার গোড়ার কথাই হল সর্বাগ্রে মেয়েদের অবরোধ মোচন । প্রথমদিকে অবরোধ মোচনকেই নারী স্বাধীনতা বলে



Leave a Comment