সুধাবিষে মিশে | Sudhabishe Mishe

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সঙ্গে আলাপ করে কথাবার্তা বলে এল... বায়োকেমিস্ট্রির এম এসসি শুনে, খুশি হয়ে বিয়ের আগেই ওর জন্য পিএইচ ডি করার খবরাখবর নিচ্ছিল, তারপর CST... দেবতোষ একবার ভাবলেন চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন। দিনের আলো কমে আসছে। এখনও কয়েকটা গোলাপগাছের গোড়ায় আজ বোনমিল ডাস্ট ছড়াতে হবে, গ্রিন হাউস-এর মধ্যে রানার-বিনস আর পুঁইশাক গাছগুলোয় ঝাঝরি দিয়ে জল দিতে হবে...। নির্মলার মনের অশান্তি তিনি টের পাচ্ছেন বটে, কিন্তু কতটা যে তার নেহাতই দুশ্চিন্তা, আর কতটা...। নাহ, উঠতে গিয়েও ওঠা হল না। তার ভাবনাতেও অশান্তির উড়ো ধোঁয়া ভেসে বেড়াচ্ছে। ভাবালুতা নিয়ে আকাশকুসুম Pea জাল বৌোৌনেন না নির্মলা। বাস্তবের মাটিতে পা দিয়েই তো চলেন। বারো বছর চন্দননগরে উইমেনস কলেজের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন, ভূগোল পড়াতেন। লেকচারার থেকে আস্স্ট্যান্ট অধ্যাপিকা হয়েছিলেন। এদেশে চলে না এলে বিভাগীয় প্রধানও হতেন। এখানে এসেও লিন্ডসি কলেজে এ লেভেল ছাত্রছাত্রী পড়িয়েছেন এগারো-বারো বছর। ডায়াবিটিস ধরা না পড়লে আরও বেশ কয়েক বছরই কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন। এখনও একেবারে কিছু করেন না তা AA ব্যাসিলডন কাউন্সিলের একটা পার্টটাইম চাকরি করেন, সপ্তাহে সতেরো ঘণ্টা। আর কিছু না, নিজেকে কিছুটা জড়িয়ে রাখার জন্য। সাতান্ন বছর বয়সে শরীরে অবশ্যম্ভাবী কিছুটা ভাঙন এলেও, ঘরে বাইরে কাজকর্ম নিয়ে, অস্তত এই বয়েসের দেশীয় মহিলাদের তুলনায় কর্মঠ-ই আছেন বলা উচিত, এমনকী ডায়াবিটিস থাকা সত্ত্রেও। আবার মনের দিক থেকে প্রাচীনপদন্থী না হয়েও, বহিরঙ্গে এখনও বেশ আটপৌরে ভাবটাই ধরে রেখেছেন নির্মলা। বাড়িতে শাড়ি পরেন। মাঝারি উচ্চতা, গায়ের মাজা রঙে সেটাই দিব্যি মানিয়ে যায়। শুধু সপ্তীয় তিনদিন কাজে যাওয়ার সময় ট্রাউজার্স পরেন, তা-ও গাড়ি চালানোর ১৮



Leave a Comment