শূন্য বৃক্ষ | Shunya Briksha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
খেতে জোর করে। সুজয় কিছুতেই রাজী হয় না। হাজারিকা সমর্থন করে বলে, 'জোর করে দেবেন না মিস সেন।' বিরক্তি প্রকাশ করে নীলা বলে, 'সরি মিস্টার হাজারিকা। আমার নাম নীলাম্বরী রাজকোয়া।' 'এক্সট্রিমলি সরি মিস নীলাম্বরী। মিস্টার সুজয় সেনের বোনকে রাজকোয়া বলতে ভূল হচ্ছে | তীব্র জেদ প্রকাশ করতে না পেরে নীলা সুজয়কে GTS খেতে বাধ্য করে ও নিজেও খায়। ছবির বাকি অংশ শুরু হতেই সুজয়ের অবস্থা করুণ থেকে করুণতর হয়ে গেল। কপাল, গলা, মুখ অস্বাভাবিক ঘামে ভিজে গেছে। সুজয়ের মনে হচ্ছে হলটা ঘুরছে। পকেটের রুমাল নিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে সীটের পেছনে মাথা এলিয়ে দেয় FSA | নীলা ঘাবড়ে গিয়ে সুজয়ের মাথাটা কোলে নিয়ে ব্যাগ থেকে ছোট্ট তোয়ালে বের করে নাক মুখ কপালের ঘাম মুছতে থাকে। দূর থেকে হাজারিকা দৌড়ে এসে ফিসফিস করে নীলাকে বুকের বোতাম খুলে দিয়ে গলা ঘাড়ের ঘাম মুছে দিতে বলে দ্রুত বেরিয়ে গেল। ফিরে এসে নীলাম্বরীর হাতে একটা ক্যাডবেরিজ চকোলেট দিয়ে জোর করে খাইয়ে দিতে বলে সে তার সীটে ফিরে যায়। চকোলেট খাওয়ার মিনিট তিনেকের মধ্যেই সুজয় ঠিক হয়ে বসে। হাসিমুখে বলে, 'নীলা, তোমাকে সত্যি এম্বেরাস্‌ পজিশানে ফেলে দিলাম | নীলা ঠোট বেঁকিয়ে বলে, 'তাম্কুল খেয়ে কোন বীরপুরুষের এমন হতে পারে শুনিনি। আপদটার উপর জেদ করে আমি খাইয়েছিলাম দাদা, আমায় ক্ষমা করো, আর কখনও জোর করব না। তবে আপদটার খুব বুদ্ধি আছে। রিয়েলি, মেন্টালিটি ইজ ভেরি হেল্পিং।” “ফর ইউ, নট ফর fT!" 'দাদা! তুমি বেশ বাড়াবাড়ি করছ। আমি জানি বড়দা তোমাকে শিখিয়ে দিয়েছে সব। তুমি সেভাবে চলছ, যাতে তোমাকে নিয়ে আর না বেরুই। আমি তোমাকে নিয়েই বেরুব।” ওরা তিনজন একসঙ্গেই ফিরে আসে। কিন্তু হোস্টেলে ফিরতে সুজয়ের আরো চল্লিশ মিনিটের মত দেরী হল। নীলার রাতের খাওয়া শেষের পর সুজয় হোস্টেলে ফিরে আসে। সুরেন অপেক্ষা করছে । ঢেকে রাখা খাবার খেতে খেতে ওদের মধ্যে অনেক কথা হয়। একটা ব্যাপার সুরেনের বড় অদ্ভুত লাগছে, সুজয় কিছু একটা সুরেনের কাছে লুকোচ্ছে। সেও মুখ ফুটে জিজ্ঞেস করবে না। বিপুল হাজারিকার রুমে সুজয়ের যাতায়াত বেড়ে যায়। ওদের মধ্যে নিভৃতে প্রায়ই কথা হয়। অবসর সময়ে হাজারিকাকে হোস্টেলে দেখা যায় না। নীলার মনটা পাল্টে যাচ্ছে। সুজয়ের কাছে সত্যিই সে কৃতজ্ঞ। তবুও এক অজানা আশঙ্কায় তার বুকটা কেঁপে ওঠে। অনেক ভেবেও সুজয়কে অবিশ্বাস করতে পারছে না | কিন্তু নীলাকে হোস্টেলে ঢুকতে নিষেধ করছে কেন সুজয়? নীলাও জোর করছে না কেন? এ পরিস্থিতিতে যার কাছে মনের কথা বলতে পারত, তার চালচলনকেই সে সন্দেহ করছে। ১৮



Leave a Comment