সাহিত্য সংস্কৃতি দর্শন | Sahitya Sanskriti Darshan

১৮ সাহিত্য সপ্কৃতি দর্শন প্রক্রিয়ায়, শ্রুত স্বরক্ষেপণে। অর্থাৎ, সমগ্র AAT বোধ প্রক্রিয়া-_যাকে প্রসেস অব কনশাসনেস বলতে পারি-_তার থেকে ভাষা ব্যবহার করার একটা যোগ্যতা আমরা অর্জন করতে AHH | কেবল মানুষ নয়। এই ক্ষমতা AA PCA অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও কম বেশী বর্তমান শিম্পাঞ্জি বা পাখি-_বিশেষ করে আমাদের অতি পরিচিত চন্দনা, ময়না, টিয়া--আরও অনেক অনেক পশুপাখীর ভাষা বা সংকেত সৃষ্টি করা তথা সঞ্চয় করা, প্রক্রিয়াকরণ এবং যোগ্য বোধশক্তির সাহায্যে তা ব্যবহার করবার লক্ষণ অতি সাধারণ একটা ব্যাপার। মানুষের ভাষা এক জৈব শারীরিক স্তর থেকে একটা নিরাকার বা অদৃশ্য ও ব্যবহারযোগ্য অথচ শ্রুতিনিয়ন্ত্রিত রূপ পাচ্ছে। APSA অন্যতম শিষ্য স্টিভেন পিন্কার উচ্ছ্বসিত হয়ে বলছেন, ভাষার গঠন কাঠামো হচ্ছে একেবারে হত্তীশুড়ের মতন। মাথা থেকে তার উৎপত্তি অথচ দীর্ঘায়িত একটা নিয়ন্ত্রণকারি সুযোগ্য, সুন্দর প্রত্যঙ্গের মতো উদিত। ভাষার এ হেন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি স্থাপনে চম্ক্কির জুড়ি মেলা ভার। এখানে ইদানীং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানশান্ত্রের বিষয়গুলো একিভূত হচ্ছে বলে পূর্বোক্ত সেই একিকতা সূত্র অনুসরণ করছে Caf জীবনবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান বা নিউরোলজি, আ্যানাটমি, লিঙ্গুইসটিক্‌স্‌, ফিজিক্স, হরমেনিউটিক্স্‌ সব আত্তর্বিষয়ক সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে। ভাষা প্রকৃতির সংজ্ঞার মধ্যেই চম্কির বর্তমান গবেষণার দুটি মূল বিষয়বস্তু বা প্রতিপাদ্য বিষয় আলোকিত হচ্ছে নিশ্চয় । এক বিজ্ঞানের আন্তর্বিষযয়ক বা ইন্টারডিসিপ্লিনারি একিকতাসূত্র। দুই ভাষার শারীরিক অঙ্গবৈশিষ্ট-_মানুষের অস্তিত্বে ভাব বিনিময় ও বন্টনের জৈবিক এক উন্মেষ পর্যায়ে আমরা ভাষার মত একটি প্রত্যঙ্গের একটি অতি-ডারউইনীয় আবির্ভাব দেখতে পাচ্ছি।