প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানী [সংস্করণ-১] | Prachin Bharatiya Bigyani [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বৈদ্য ধন্বত্তরি কাশীরাজ দিবোদাম ধ্বস্তরি বাণপ্রস্থই অবলম্বন করলেন। দীর্ঘদিন খরে সংসারে তার মন টিকছিল না, তবু প্রজাদের প্রবল বাধায় এতদিন বনে যেতে পারেননি। বিদায়কালে দলে দলে প্রজা, আত্মীয়স্বজন চোখের জলে তার চলার পথকে পিছল করে তুলল; কিন্তু আপন সিদ্ধান্তে তিনি রইলেন অটল ৷ দণ্ড, কমণ্ডলু নিয়ে সেই যে একবস্তরে বেরিয়ে গেলেন আর ফিরলেন না। এরপর বনের ধারে CASAS এক নদীর তীরে পণ্ণকুটীরে তার বাস। উপরে অনন্ত আকাশ, নিম্নে শ্যামলা ধরিত্রী। এখানে রাজপথ AR, নেই নগরের কোলাহল, স্বার্থ হিংসা, দ্বেষ-হানাহানি। এখানকার বাসিন্দা যারা, তাদের ক্ষুধার অল্প সংগ্রহের UPS নেই ; চিকিৎসার জন্য ছুটাছুটি নেই; আত্মীয়ম্বজনের জন্যে নেই কোন ব্যস্ততা । পুষ্পাভরণে ভূষিতা অরণ্যানী, পাখির কাকলি, নদীর কলতান, বন্তমৃগের চঞ্চল পদচারণা, ফলভার-নম্র বৃক্ষরাজি মুগ্ধ করেছে রাজাকে | তাইতো ভুলে গেছেন নিজের অতীত জীবন, ate সিংহাসন, রাজবেশ ও রাজভোগের কথা। ক্ষুধা পেলে বনের ফলমূল খান। তৃষ্ণায় পান করেন নদীর জল। দিবস রজনী ধ্যান ধারণায় লিপ্ত থাকেন সেই পরমপুরুষকে অন্তরে উপলব্ধি করতে। আজ মনে হয় অদৃশ্য কোন এক যাছুকরের মায়ায় দীর্ঘদিন সংনার-কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। তাই বন্ধন মুক্তির আনন্দ তার সারা দেই-মনে। এতদিনে অমৃতের সন্ধান পেয়ে BN তিনি--পরিপূর্ণ তিনি। একটি ইচ্ছা তার অপূর্ণ থেকে গেছে। সংলার-জীবনে অষ্টাঙ্গ নবিজ্ঞানী-১ ১৩



Leave a Comment