চতুরঙ্গ | Chaturanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জ্যাঠামশায় ১৫ জগমোহন শচীশের সঙ্গে এমন চালে চলিতেন যেন সে তার সমবয়সী। গুরুজনকে ভক্তি করাটা তার মতে একটা ঝুঁটা সংস্কার ; ইহাতে মানুষের মনকে গোলামিতে পাকা করিয়া দেয়। বাড়ির কোনো-এক নূতন জামাই তাকে 'প্রীচরণেষু' পাঠ দিয়া চিঠি লিখিয়াছিল । তাহাকে তিনি নিম্নলিখিত প্রণালীতে উপদেশ দিয়াছিলেন : “মাইডিয়ার নরেন, চরণকে শ্রী বলিলে যে কী বলা হয় তা আমিও জানি না তুমিও জান না, অতএব ওটা বাজে কথা। তার পরে, আমাকে একেবারে বাদ দিয়৷ আমার চরণে তুমি কিছু নিবেদন করিয়াছ ; তোমার জানা উচিত, আমার চরণটা আমারই এক অংশ, যতক্ষণ € ওটা আমার সঙ্গে লাগিয়া আছে ততক্ষণ উহাকে তফাত করিয়া! | দেখা উচিত | না। তার পরে: ড্র শট! হাতও নয় কানও নয়; ওখানে কিছু নিবেদন করা পাগলামি। তার পরে শেষ কথা এই যে, আমার চরণ সম্বন্ধে বহুবচন প্রয়োগ করিলে ভক্তিপ্রকাশ করা হইতে পারে, কারণ কোনো কোনো চতুষ্পদ তোমাদের ভক্তিভাজন, কিন্তু ইহাতে আমার প্রাণিতত্বধটিত পরিচয় সম্বন্ধে তোমার অজ্ঞতা সংশোধন করিয়। দেওয়া আমি উচিত মনে করি 1” এমন-সকল বিবয়ে শচীশের সঙ্গে জগমোহন আলোচন৷ করিতেন যাহা লোকে সচরাচর চাপা দিয়া থাকে । এই লইয়া কেহ আপত্তি করিলে তিনি বলিতেন, “বোলতার বাসা ভাঙিয়া দিলেই তবে বোলতা তাড়ানো যায়, তেমনি এ-সব কথায় লজ্জা করাটা ভাঙিয়৷ দিলেই লজ্জার কারণটাকে খেদানো হয়;



Leave a Comment