সম্পাদকের বৈঠক [সংস্করণ-১] | Sampadaker Baithake [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নতুন লেখকদের “কেন গল্প অমনোনীত করেছেন” এই Sorat থেকে রেহাই পাবার এক মোক্ষম উপায়। মুড়ি-তেলেভাজা এসে গেছে, আমিই সর্বাগ্রে fey হয়ে সংকারে লেগে গেলাম। জোড়া টেবিলের পূর্বপ্রান্তে এতক্ষণ যে সাহিত্যিকবন্ধুটি নীরবে বসে এইসব cine শুনে যাচ্ছিলেন তিনি একজন কবি, বয়সে আমাদের মধ্যে তরুণতম। এবার তিনি মুখ খুললেন | _প্শুধু জলধরদাকে এই ট্যাকটিকসের জন্য দোষ দিলে চলবে কেন। এরকম ট্যাকটিকস্‌ আরও একজন সম্পাদককে এবং হালফিলের সম্পাদককে আমি নিতে দেখেছি । | সবিশ্ময়ে আমরা সবাই জিজ্ঞাম্থ দৃষ্টি মেলে তার দিকে তাকালাম। অর্থাৎ কে তিনি?! কবি বন্ধু বললেন--_“বেশী দিনের কথা নয়। তখন আমি ছু-একটা কবিতা লিখলেও ছোট গল্পই বেশী লিখতাম। কোন একটি জনপ্রিয় পত্রিকার সম্পাদকের দপ্তরে একটি গল্প পাঠিয়ে দু মাস বাদে সম্পাদকের অফিসে খোজ নিতে গিয়েছি। সেই আমার প্রথম সম্পাদকের কাছে যাওয়া, তাই ছুরুদুরু বক্ষে গল্পর কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি টেবিলের ওপরে কাগজের ঠোডায় রাথা একগাদা পানের মধ্যে থেকে দুটি পান মুখে পুরলেন, পকেট থেকে জর্দার কৌটো বার করে এক খাবল। মুখে ফেলে সেই যে ধ্যানস্থ হয়ে জাবর কাটতে লাগলেন আর স্পীক-টি নট । আবার জিজ্ঞাস! করলাম--“আমার দুমাস আগের দেওয়া গল্পটা ? ধ্যানীবুদ্ধের মত দক্ষিণ হস্ত তুলে বরাভয়ের মুদ্রা দেখিয়েই আবার তিনি গালভরতি পান জর্দার রস উপভোগে মগ্ন হলেন । আবার প্রশ্ন, আবার সেই হস্ত প্রসারণ। ট্রামের মাস্থবলি টিকিট দেখালে কনডাকটার যেমন হাত তুলে আশীর্বাদের yal দেখিয়ে জানায় Be হায়, এও তেমনি, ততক্ষণে আমার মেজাজ তিরিক্ষি। আমারও জেদ চেপে গেল, একটা কিছু উত্তর না fag ছাড়ছি নে। আবার বললাম, 'গল্পটার কি করলেন বলুন” * এবারে সম্পাদক মহাশয়ের ধ্যান ভাঙ্গল। বুঝলেন, এ ছোকরা সহজে নড়বার পাত্র নয়। অগত্যা চেয়ার ছেড়ে উঠলেন, বারান্দায় গেলেন, পানের পিক্‌ ফেললেন, ঘরে এসে খানিক্টা জল cacy বললেন-_ - ‘rE সেই ফেলালেনই। সবে ছু-মাস হয়েছে, আরও একমাস যাক তখন জানতে পারবেন ।* +



Leave a Comment