For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জীবন কথা ১৫ বন্ধুদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত, “নেবুতলার ইস্কুলে"*র মতন এটারও অবলুপ্তি ঘটে। এই
পত্রিকার কথা বলতে গিয়ে কবি বলেছেন-_'অনাগত' খাল পাড়ে বিক্রির চেষ্টা করতাম,
অনেকে কৌতুহল বশে ডেকে দেখতেন, কিন্তু কিনতেন না। অল্পদিন পরে পত্রিকাটি উঠে
যায় pe’ মা'র মৃত্যুর পর কবিদের পারিবারিক অবস্থায় নিয়মশৃঙ্খলার দৈন্য দশা উপস্থিত
হয়। কবির মাতামহী কিছু দিন চেষ্টা করেছিলেন শৃঙ্খলা ফেরাতে কিন্তু বিচিত্র স্বভাবের
নাতি-নাতনীদের সামলানো তার সাধ্যাতীত জেনে. কবিরই সেজমাসিমার বাড়ি চলে
যান তিনি। আর কবির বাবার দিন কাটতো কলেজে এবং আড্ডায়। পুত্র কন্যাদের
তদারক করা তার স্বভাব বিরুদ্ধ ছিল। ফলে কবিরা প্রায় নিজেদের ইচ্ছামতোই বেড়ে
উঠতে লাগলেন। অবশ্য মা'র মৃত্যুর পর পরই সমর সেন স্কুলে ভর্তি হন। ক্লাশ
COSTA | কাশিমবাজার পলিটেকনিক স্কুলে। কবির বর্ণনা : 'বারো বছর বয়েসে অর্থাৎ
WA মৃত্যুর পরে স্কুলে ভর্তি হই। বাবা স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াতেন বটে, কিন্তু স্কটিশ
চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে আমাকে নিল না অনুপযুক্ত বলে। গেলাম মহারাজা কাশিমবাজার
পলিটেক্নিক স্কুলে। শাজাহান কার বাবা গোছের প্রশ্ন ও দু একটা ইংরেজী সেন্টেন্স
রচনা পরীক্ষার পর চতুর্থ ক্লাসে (এখন ক্লাস vil) নেওয়া Var? এই সময়ে কবি
তার পরিচিতির বাইরে কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে মিশতে চাইতেন না। অথচ তার মধুর
উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব তখন থেকেই সকলের দৃষ্টি কাড়তো। আর পরিচিত গণ্ডীর ভিতরে
কবির স্বভাব ছিল অকুতোভয় প্রচণ্ড yas নিভীকতায় উজ্জ্বল | কমলা রায় জানিয়েছেন,
AT কলেজ চলে গেলেই অবাধ ASS! পর পর সব বাড়ী। এ ছাদ থেকে ও ছাদে
যাওয়া যেত। খোকাদার তখন এগারো কি বারো বছর বয়েস হবে; কালুদা আর
লালুদাকে [কেশব সেন ও অনিল সেন] নিয়ে এ ছাদ থেকে ও ছাদ থেকে আচার নিয়ে
আসতেন। বেচারা বাবা কলেজ CATH ফিরলেই পাড়ার লোক এসে নালিশ করতেন।
রাস্তায় কাকে ঘথুঁষি মেরে নাক ফাটিয়েছেন--এসব তো আছেই ।”*৮ বলা বাছল্য কবি এ
সময়ে শরীর চর্চায় যত্নবান হন! সাঁতার, কুস্তি, বক্সিং, লাঠিখেলা ইত্যাদি শেখেন। পরে
আমেরিকা প্রত্যাগত পিতার বাল্যবন্ধু, ব্রহ্মবিহারী সরকারের উৎসাহে তিনি আরো বেশী
শরীর চর্চায় উৎসাইী হন। যিনি কবিকে গঙ্গায় নিয়মিত সাতার শেখাতে নিয়ে যেতেন,
কবিরই অন্য সহোদরদের সঙ্গে কবির জীবন যাত্রা এসময়ে খুবই অনাড়ম্বর ছিল। ঘটা করে জন্ম দিন পালিত হয়নি
তার বেলায়। পক্ষাস্তরে এই জন্মদিন উপলক্ষে বাড়িতে পায়েস হলেই যথেষ্ট ছিল। এবং
মাসে একবার মাংস হলেই তারা খুশী হতেন। অবশ্য মাছের টুকরো দুবেলাই তাদের
পাতে পড়ত। ডিমের চলন খুব একটা ছিল না বললেই চলে। উপোস বা বেলের
মোরব্বা দিয়ে কারো পেট খারাপ হলে সারাবার ব্যবস্থা VS) ওয়ালফোর্ড বাসের ছাদ-
হীন দোতলায় চড়ে কবিদের বেশ ফুর্তি হ'ত। ট্রামে বাসে ভীড় খুব একটা ছিল না।
যদিও তখন কবিরা পায়ে হেঁটেই বিভিন্ন গম্ভব্যস্থানে যেতে Ves ছিলেন । এ সময়ে