আধুনিক বাংলা প্রবন্ধ-সাহিত্যের ধারা [সংস্করণ-১] | Adhunik Bangla Prabandha-sahityer Dhara [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[৫ ] কারণ, রামমোহনের ব্যক্তিত্ব যত বিরাটই হউক, সে'দিন একদিক দিয়া খৃষ্টান las সম্প্রদায় এবং অপর দিক দিয়া দেশীয় রক্ষণশীল পণ্ডিত সমাজ ইহাদের উভয়ের মত খণ্ডন করিতে fr কেবল মাত্র শান্ত্রীয় তথ্যনিরপেক্ষ আত্মোপন্ধির উপর নির্ভর করিলে চলিত না, তথ্যের দ্বারা তথ্যের খণ্ডন করিবারই সেদিন প্রয়োজন ছিল, রামমোহন সেই পথই গ্রহণ করিয়াছিলেন। অথচ এ'কথা সহজেই বুঝিতে পারা যায় যে, রামমোহন যে শিক্ষা এবং চরিত্রশক্তির অধিকারী ছিলেন, তাহার মধ্যেই উক্ত সংজ্ঞান্যায়ী সার্থক প্রবন্ধ রচনার প্রতিভা ছিল | স্বচ্ছ সত্যবোধ এবং বলিষ্ঠ আত্মপ্রত্যয় প্রবন্ধ রচনার যত বড় গুণ, তথ্যজ্ঞান তত বড় গুণ as কিন্ত দুইটি বিশিষ্ট প্রতিপক্ষকে সম্মুখে রাখিয়া] তাহাদের উত্থাপিত জিজ্ঞাসার প্রশ্ন দিতে গিয়া! রামমোহনকে তাহার বলিষ্ঠ আত্মপ্রত্যয়কেও “ele তথ্যজ্ঞানের নিকট বলি দিতে হইয়াছে । Watt প্রবন্ধ রচনার যথেষ্ট প্রতিভা থাকা সত্বেও তাঁহাকে যে শেণীর রচনা প্রকাশ করিতে হইয়াছে, তাহা বাংলা৷ সাহিত্যের আদশ প্রবন্ধরূপে গৃহীত হইবার যোগ্য ছিল না। অথচ তিনি প্রবন্ধ রচনার যে আদর্শ বাংলা গদ্যের আদি যুগেই স্থাপন Shani গিয়াছিলেন, তাহা কিছুকাল অনুসরণ করিবার ফলে বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের যথার্থ রূপ এবং শক্তির উপলব্ধির অন্তরায় wie হইয়াছিল | পূর্বেই বলিয়াছি, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা সাহিত্যে আত্মপ্রত্যয় ape বিকাশ লাভ করিতে পারে নাই; সেইজন্য তাহা প্রধানতঃ অনুবাদ এবং অনুক্রণেই পর্যবসিত হইয়াছিল ৷ বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমার দত্তের মধ্যে TIS যে as সঞ্চারিত হউক না কেন, তাঁহাদিগের মধ্যেও আত্মাপলক্কধির বলিষ্ট অভিব্যক্তি ছিল ay, বিদ্যাসাগরকেও বহুল শাস্ত্রীয় যুক্তি ও তথ্যের উপর ভিত্তি করিয়া তাঁহার জ্ঞান ও বিশ্বাসকে রূপায়িত করিতে হইয়াছে; কারণ, সেদিনও সমাজ ব্যক্তির আত্মোপলক্ধির উপরে শাস্ত্রের তথ্যকে স্থান দিয়াছিল। তবে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কেবল মাত্র একজনের away



Leave a Comment