শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ও দেশ | Shri Shri Ramkrishna O Desh

সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে Satay ৩ অনুমান করা শক্ত নয়, এইসব বিষয়ের আদর্শ স্থাপনের জন্যই রামকৃষ্ণ কৈবর্ত (মাহিয্য ) প্রতিষ্ঠিত দেবতার পূজার ভার গ্রহণ করেছিলেন। ১১৩ বৎসর পূর্বে দেশের সামাজিক অনুশাসন অত্যন্ত কঠোর ছিল। মা ভবতারিণনীর কাছ থেকে মন্দির প্রতিষ্ঠার ও অন্নভোগের প্রহত্যাদেশ পেয়েও রাণী রাসমণির ন্যায় বিত্তশালিনী মহিলাকে চোখের জলে ভাসতে হয়েছিল ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের অঙন্মোদন না পেয়ে। অবশ্য পণ্ডিত রাজকুমারের ব্যবস্থাপনায় মন্দির প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা হল কিন্তু পূজারী কোথায় ? রাসমণি অনেক coal করলেন Yetta a! ব্রাহ্মণদের অভিমত এই যে, wa প্রতিষ্ঠিত দেবতার Aoi তারা করতে পারবেন না, এমন কি মাথাও নোয়াবেন না শৃদ্র-প্রতিষ্ঠিত দেবতার wae Tatas মানবদরদী পণ্ডিত রামকুমার এলেন রাণী রাসমণির অনুরোধে মা ভবতারিণীর পুজার ভার গ্রহণ করতে, গদাধরও ছিলেন দাদার সাথে। গদাধর কিছুদিন পর্যন্ত নৈষ্টিক আচারির aia ছিলেন দক্ষিণেশরে। মন্দিরের বাইরেই তিনি গঙ্গাজলে ভাতেভাত সিদ্ধ করে খেতেন, শিবলিঙ্গ তৈরী করে পুজোও করতেন মন্দিরের বাইরে। তারপর তিনি মথুর বাবুর অনুরোধে এবং ভাগিনেয় হৃদয়ের আশাসবাকো্যে রাণীর মন্দিরে পূজার ভার গ্রহণ করেছিলেন। তাই তিনি বলতেন, আমি মায়ের কাছে প্রার্থনা করতুম আমার বিচারবুদ্ধির উপর বজ্রাঘাত করতে। তিনি সর্বধর্মের অন্ভূতি লাভ করেছিলেন বলেই বলতে পেরেছিলেন-_মায়ের আরাধনায়, মায়ের পূজায় সকলের সমান অধিকার আছে। লোকশিক্ষ৷ ও আত্মতৃপ্তির জন্য Saree Ah ও মুসলমান ধর্মের সাধন করেন। তোতাপুরীর নিকট বেদাস্তের ও ভৈরবী ব্রাহ্মদীর কাছে তন্ত্র ও যোগ- সাধনা শিক্ষা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন বলেই তিনি দৃঢ়ভাবে বলতে পেরেছিলেন “যত মত তত পথের”র বাণী। তার মতে যাদের সংকীর্ণ মনোভাব তারাই অন্যের ধর্মকে নিন্দা করে ও আপনার ধর্মকে