বাছাই গল্প [প্রথম পর্ব] | Bachai Galpa [Part 1]

নাফা শামতাপরসাদ। না, যাঁকে শাস্তাপ্রসাদ তবলিয়া বলা হত, তিনি নন। ইনি নেহাতই শামতাপরসাদ কালোয়ার। বঙ্গালিলোগ seem বললে তিনি কখনও কখনও শুধরে দেন। তাঁর ছেলে কামতাপরসাদ সাউ। তারও ছেলে ওম্পরকাশ নামের 'ওম টুকু গ্যাংগ্রিনগ্রস্ত sod মতো বাদ দিয়ে সে জায়গায় আনলো একটা আস্ত সুস্থ ইস্পাত- শাণিত ‘GT, 'পরসাদ'ও সে আর থাকল না, “পরকাশ” হয়ে গেল। জয়প্রকাশ গুপ্তা। এরা ফৈজাবাদের লোক। সেই যে উত্তর প্রদেশ, অযোধ্যার কাছাকাছি ল্যাংড়া-লুলা, হতদরিদ্র ফৈজাবাদী te! CI আর কালোয়ার? কালোয়াররা খুচরো লোহার বেওসা wal রেসিডেনশ্যাল এরিয়ার মধ্যেই কুচি কুচি অন্ধকার para মতো cite এক একখানা বে-সহবৎ নাঙ্গা দোকান, তার ভেতর থেকে ভিথখিরির অপুষ্ট পুরুষাঙ্গ মতো রাশি রাশি লোহার রড বেরিয়ে আছে। একখানা পাথরের খণ্ডর ওপর টকটকে লাল একটা জিনিস রেখে উলটেপালটে দিচ্ছে এক যমদূত, আর একজন পেল্লাই হাতুড়ি দিয়ে তাকে পেটাচ্ছে। এরকম ছবি প্রাগৈতিহাসিক সময়ের ছবিতেও আমরা RRR বইয়ে আকছাব দেখেছি। তা জিনিসটা কী? অবাধ্য আত্মা-টাত্মা না কি? Ge, নেহাৎ ছেলেমানুযেও জানে ওটা লোহা। লোকদুটোও TIS নয় স্বভাবতই, কালোয়ারের ভাড়া-করা মজদুর, খিদমতগার, কখনও বা কালোয়ার নিজেই। লোহা পিটিয়ে পাত বানানো হচ্ছে। রাস্তাটা জনগণের সবাইকার, সুতরাং জনগণের AWS, আপনারা জানেন বোধহয়। সেই রাস্তার ধারে দেখা যাবে লোহার পাতের জায়গায় জায়গায কী যেন একটা WA ধরা হচ্ছে। শো শৌ আওয়াজ, te গাক নীল আলো, না না, কোনও রামদিন বা আলাদিনের দৈত্য নয়, ওটা অক্সি-আসিটিলিন গ্যাস, লোহার সঙ্গে লোহা জোড়া হচ্ছে। STATES | তা, এই লোহার বেশির ভাগটাই আবার চোরাই। অনেক রাতে শামতা- কামতাপরসাদেব কুলুঙ্গি দোকান ও তৎসংলগ্ন টিনের vA ঘরের সামনে শোনা যাবে ঝনঝনঝনঝন ঝনঝনঝনঝন, আগে পিছে চলন্ত হেভি ট্রাকের মুখ চেপে ধরা গোঁয়ার আওয়াজ । কী বে বাবা? পড়ছেটা কী? আলিবাবার মোহর? তার আওয়াজ তো আর একটু মিঠে হওয়ার কথা! উহু! মোহর নয়, কিন্তু মোহরের কাছাকাছি কিছু তৈরি করবার উপায়। ওগুলোই চোরাই লোহা। কিছু পয়সা খেয়ে লরি-ড্রাইভার খানিক লোহা ফেলে দিয়ে যায়। ড্রাইভাবেরও কিছু হল, কালোয়ারেরও কিছু হল। ভেজনেওয়ালা, লেনেওয়ালা উভয়েই জানে কিছু মাইনাস ধরতেই হবে, এমনটা হয়ে আসছে, এমনটাই হওয়ার কথা। লিভ্‌ SS লেট লিভ্‌। খারাপ কিছু? কিন্তু বালক বয়সেই গয়প্রকাশের এই দুপুর রাতের ঝনঝনানি সাক্ষাৎ Felis নরকের আওয়াজ বলে মনে হতে থাকে। কারণ, প্রথমত তার আ্যাংলো-স্যানিসত্ত্রিন্ট স্কুল, আর দ্বিতীয়ত তার প্রতিবেশী গৌতম সরকার, তার চেয়ে কিছু বড় এক বালক, বা কিশোর, তাব মতো খাঁটি গৌরবর্ণ নয়, কিন্তু চোখেমুখে, কথাবার্তার খুব ধার। পরদিন