For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)৬ পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যভাবনা 'ফিদ্রাস্” গ্রন্থে কিন্তু প্লেটো শিল্প সম্পর্কে এমন কয়েকটি কথা বলেছেন যেগুলি পরবর্তী
কালে TE প্রচলিত হয়ে গেছে বলে আমরা মনে রাখি না যে, প্লেটো সেই অভ্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ
শিল্প-খারণাগুলির প্রথম Greer শিল্পের ধারণায় জীবদেহের মতো সমগ্রতা (Organic
unity) থাকা যে প্রয়োজনীয় সে-কথা তিনিই প্রথম বলেন। এছাড়া দ্য রিপাবলিক গ্রদ্থে তিনি
ব্যাখ্যা করেছেন যে, বিভিন্ন ধরনের শিল্প-রূপবন্ধ-_ যেমন এপিক, লিরিক এবং নাটক-_
এগুলির মধ্যে পার্থক্য ঘটে উপস্থাপনার ধরন অনুসারে (manner of presentation) |
দা ল-জ Ae fois বলেছেন প্রকৃত ট্র্যাজেডি জীবনের গভীরতম এবং মহত্তম স্বরূপকে তুলে
ধরে। এই ধারণাই পরে আরিস্টটল এবং রেনেসাঁস-পর্বের আলোচকেরা বিশদ করেছিলেন | দ্য
রিপাবলিক এবং ফিদ্রাস্_ দুটি গ্রছেই প্লেটো লিখেছেন ট্র্যাজেডির দ্বারা বিশেষভাবে করুণা
এবং ভয়ের অনুভূতি জাগ্রত SA ফিলেবাস (Philebuts) গ্রন্থে তিনি এ-কথাও বলেছেন যে,
একটি ভালো ট্র্যাজেডি দেখে আমরা যে আনন্দ পাই তা এক বিশেষ ধরনের আনন্দ যাকে
'ট্র্যাজিক প্লেজার' (Tragic pleasure) বলে অভিহিত করা হয়েছে। ফিলেরুস গ্রছে প্লেটো কমেডি সম্পর্কে দু-একটি কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে সমকালীন
ট্র্যাজেডি লেখকেরা যে নিম্ন ধরনের উত্তেজনাকে (Sensation) জাগাতে চান-_ সেই
প্রবণতাকেও প্লেটো সমালোচনার করেছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি--প্লেটো এমন অনেক ধারণারই প্রথম প্রবক্তা যেগুলি তাঁর ছাত্র ও
পরবর্তা মনীষী শিল্পতত্তুবিদ আরিস্টটল-এর ভাবনায় ও লেখায় বিকশিত হয়েছে। অনেক
ধারণার ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্লেটো যে-দিক থেকে শিল্প, কবি ও কাব্য সম্পর্কিত বিষয়কে ব্যাখ্যা
করেছেন এবং সে-বিষয়ে TTY করেছেন-_ আরিস্টটল-এর ব্যাখ্যা হয়েছে তার থেকে পৃথক
এবং কোথাও বিপরীত। তার কারণ এই যে-- প্লেটো ছিলেন ভাববাদী এবং অলৌকিকতায়
বিশ্বাসী। তিনি বাস্তব জগৎ অতিক্রমী এক অতীন্দ্রিয় লোকের অস্তিত্বে পূর্ণ বিশ্বাস করতেন।
কিন্তু আরিস্টটল ছিলেন বিজ্ঞাননিষ্ঠ মুনের মানুষ। ভাবজগৎ এবং অতীন্দ্রিয়লোক সম্পর্কে
তিনি খোলাখুলি অবিশ্বাস ব্যক্ত না করলেও--এই বিষয়গুলিকে তাঁর শিল্প-ধারণায় এবং
কাব্যতত্বএ কোনো গুরুত্ব দেননি। বাস্তব জগৎ এবং বাস্তবের মানুষই ছিল তাঁর অবলম্বন।
ট্যাজেডিগুলিতে যে দেবদেবীর প্রসঙ্গ থাকে তাকে তিনি পুরাণ-কথিত এবং মানব-কল্পনা সৃষ্ট
আ্যাখ্যান বলেই গ্রহণ করেছেন। (প্লেটো এবং আরিস্টটল-এর অভিমতের অত্যন্ত স্পষ্ট একটি পার্থক্যের জায়গা হল
অনুকরণের গ্রহণযোগ্যত y) প্রধানত এই ক্ষেত্রেই শিল্প এবং সাহিত্য-সম্পর্কিত ধারণায় গুরু
ও শিষ্য দাঁড়িয়ে ছিলেন “পরস্পরের বিপরীতে। প্লেটো ছিলেন অনুকরণ সম্পর্কে বিমুখ, সে
কারণেই শিল্প-সাহিত্যের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কেও সংশয়ী। আরিস্টটল ছিলেন অনুকরণের
গুরুত্ব সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত এবং শিল্প সাহিত্যের অনুরাগী। আমরা এখন প্লেটো এবং আরিস্টটল-এর মতবাদ এবং মনোভাবের সবর্মিক তুলনায়
বিষয়টি উপস্থাপিত করব। এই তুলনা প্রধানত অনুকরণ এবং শিল্প-_ এই দুটি বিষয়কে
অবলম্বন করেই আবর্তিত হবে। কারণ অনুকরণের বিষয় ও প্রকৃতি এবং শিল্পের ভালো-মন্দ
বিষয়েই প্লেটো এবং আরিস্টটল-এর ভাবনায় প্রধান পার্থক্য দেখা গিয়েছে। প্লেটো এবং আরিস্টটল দু-জনেই বলেছেন শিল্প হল অনুকরণ। কিন্তু শিল্প কীসের
অনুকরণ-- এই প্রশ্নেই দুজনের মতভেদ সীমাহীন প্লেটো-র মতে যে বাস্তব এবং ইন্্রিয়গ্রাহ্য
পৃথিবীতে আমরা বাস করি সেই পৃথিবী সত্য নয়। এই পৃথিবীর সব কিছুই অনুকরণ। সেই