রুদালী | Rudali

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কুদালী ১৭ কতদিন! চোখে মুখে কালি পড়েছে। যতদিন থাকে, একটু সমঝে চলিস। বউ সে কথা অক্ষরে অক্ষরে মানে | বুধুয়া যতদিন থাকল, সেও ততদিন ছিল | ছেলের ছয় মাস বয়েস OAT বুধুয়ার সেদিন, সেদিন কেন, কয়েকদিন ধরেই খুব বাড়াবাড়ি যাচ্ছিল। বৈদ্যের ওষুধেও কাজ হয়নি | শনিচরী বউকে বলেছিল বুধুয়ার কাছে থাকতে | নিজে গিয়েছিল, দৌড়ে দৌড়েই গিয়েছিল বৈদ্যের কাছে অন্য ওষুধ চাইতে | ওষুধে আর কাজ হবে না জেনেও ওষুধ আনতেই গিয়েছিল ও । বৈদ্যের বাড়ি মাইলখানেক দূরে । মাগো! ভাবলে কেমন লাগে, অতখানি পথ কেমন করে দৌডেছিল ও ? কিন্তু বৈদ্য ছিল না ঘরে, হাটে গিয়েছিল । ঘরে ফিরতেই শনিচরী, ““ওষুধ দাও, ওষুধ দাও” — বলে মাথা Bohan | বিরক্ত হয়ে বৈদ্য বলেছিল, ছোট জাতের ধৈর্য সহ্য থাকে না। ছেলের অবস্থা যদি অতই খারাপ হবে, বউ হাটের দিকে ছুটছে কেন ? নিশ্চয় ভাল আছে তোর ছেলে | ঘরে ফিরে শনিচরী বুধুয়াকে জীবিত দেখেনি, বউকে ঘরে দেখেনি | বাচ্চাটা তার ঘরে কাঁদছিল | বউ আর ফেরেনি | বাচ্চাকে কোল নিয়ে বুধুয়ার দাহের ব্যবস্থা করা, বউ পালাবার কেচ্ছা চাপা দিঙে ছুটাছুটি করা, এই সব করতে গিয়ে বুধ্যার GATS কাঁদা হল না। কাঁদতে পারত না শনিচরী । কেমন যেন ধন্দ ধরে বসে থাকত | তারপর চোখ বুজে শুয়ে পড়ত ৷ গ্রামের মানুষ দেইজি-কেজেতে মেতে ACF বৃুধুয়ার মৃত্যুর পর সেই মানুষেরই আরেক রকম চেহারা দেখেছিল শনিচরী । বুধুয়ার ছেলে হরোয়াকে নিয়ে ও হিমশিম খেত। IU যে নেই, তাও যেন ভুলে যেত শনিচরী | কবে যে বুধুয়া ছিল না তাই ওর মনে থাকত AT) যখনকার কথা যতদিনের কথা মনে পড়ে, ততদিনই ক্বদালী-২



Leave a Comment