সাবরমতী [খন্ড-১] | Sabarmati [Ed. 1st]

করতেও দেখেছি! দেখেছি, তার কারণ মহিলার সম্বন্ধে এখানকার বাঙালী বাসিন্দাদের মুখে নিজের পেশাগত কিছু রসদের সন্ধান পেয়েছি | অবশ্য তখনো সম্পূর্ণই আগোচরের রসদ cra অর্থাৎ মহিলাকে দেখার আগের রসদ। সেটা সব থেকে বেশি যুগিয়োছ ত্রিপুরারি ঘোষ | বস্তুত, আমার এখানে আদাটা সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের আগ্রহের দরুন যতটা না, তার থেকে অনেক বেশি ব্রিপুরারিয় তাগিদে । না এলে জীবনে আর মুখ দেখবে না, চিঠিতে এমন ছমকিও দিয়েছিল সে। লিখেছিল, তার প্রাণের দায়-_-না এলেই নয়। যশোনতী প্রসঙ্গে এই ত্রিপুরারির মুখখানা উদ্ভাসিত হতে দেখেছি কৃতবার ঠিক নেই । অথচ স্বভাবের দিক থেকে বরাবর ওকে নীরস গদ্যাকারের মানুষ বলে জানি। ছোট একটা কবিতা মুখস্থ করতে TARA হয়ে উঠত, কিন্তু লাভ-লোকসানের YRS ACTA ফল মেলাতে ওর জুড়ি ছিল না। ছেলেবেলা থেকে হিসেব করে চলত, উচ্ছ্বাসের মুখেও হিসেবের রাশ টেনে ধরত, পাছে কাউকে পাওনার অধিক দিয়ে বসে CH টাকা-পয়সাই হোক বা নিন্দা-প্রশংসাই হোক | হস্টেলের ও ছিল ম্যানেজার। বাজার সরকারের মোটা চুরি ধরা পড়েছিল একবার । কিন্তু সরকার এমন নিখুত হিসেব দিয়েছিল যে তাকে বরখাস্ত করার বদলে Bos মাইনে বাড়ানোর স্মপারিশ করেছিল ত্রিপুরারি। কলেজে ঢুকেও এই হিসেবের রাস্তাই ধরেছিল সে । কমার্স পড়েছে। পাঠগত এক্যে সেই প্রথম বিচ্ছেদ। তারপর কর্মের অধ্যায়ে সঙ্গবিচ্ছেদ। নিষ্ঠা সহকারে ত্রিপুরারি সেই হিসেবের রাস্তা ধরেই এগিয়েছে। এম. এ. কমার্স পাস করেছে, আ্যাকাউণ্টস্‌-এর আরো ছুই একটা কি বাড়তি পরাীক্ষাও দিয়েছে শুনেছিলাম । তাতেও ভালো করেছে। কিন্তু উপরওয়াল। অনেকদিন পর্যন্ত তার চাকরির ব্যাপারে হিসেবের গরমিল করেছেন। কোনটাই মনের মত হয় না। ১৬