For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)আলোচ্য পুথিগুলি লেখা ও আকা হয়েছে তালপাতায় (কেবলমাত্র আশুতোষ সংগ্রহশালার
১১০৫ FPO নেপালে প্রস্তুত 'পঞ্চরক্ষা' পুথিটি লেখা ও আকা কাগজে)। তালপাতা
সাধারণত SHA! তাই পরবর্তীকালের বছ তালপাতার পুথিই জলবায়ুর প্রকোপে জীর্ণ হয়ে
যেতে দেখা গেছে। তাই মনে হয় সে আমলে তালপাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী করার
বাবস্থা নেওয়া BS | পূর্বভারতে দুই শ্রেণীর তালপাতা পাওয়া যায়-_'খড়তাড়' ও “শ্রীতাড়'। এই
দুই CNS মধ্যে 'শ্রীতাড়"ই পুথির পক্ষে উপযুক্ত | এই পাতা দৈর্ঘ্যে ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়;
AZ প্রায় সব সময়েই ৭১/২ সেন্টিমিটার। পাতলা ও নমনীয় হওয়ায় কম ভঙ্গুর এই পাতা
প্রথমে সংগ্রহ করে গোছা বেঁধে জলে মাসখানেক ডুবিয়ে রাখা হত। তারপর জল ঝরিয়ে
শুকনো করে প্রতিটি পাতা শাখ দিয়ে ঘষে মসৃণ করে নেওয়া BS! এরপর পাতাগুলি সাজিয়ে
সমান করে কেটে, পুথি বাধার ছিদ্র করে নিয়ে, করা হত পুথি রচনার উপযোগী লিপিকর পুথি
লিখত দেঘ্যের সমান্তরালে | প্রতিপাতায় Fe থেকে সাত MU যে-সব পুথি চিত্রিত হত
সেগুলিতে লিপিকর শূন্যস্থান ছেড়ে CIS চিত্রকর পুথিলেখার পর সেই শূন্যস্থান চিত্র দিয়ে পূর্ণ
করত। এক একটি পাতায় সাধারণত তিনটি চিত্রিত ফলক দেখা যায়--একটি মাঝখানে এবং
দুটি দু-পাশে। কোনো কোনো RE অবশ্য পাতাব দু-পাশে দুটি চিত্রফলক এবং পববর্তীকালে
পথিব দুটি ছিদ্রস্থানেও চিত্র অসক্কিত হযেছে। চিত্ররচনার প্রক্রিয়া সাধারণত জটিল। তবে ভিত্তিচিত্রের তুলনায় পুথিচিত্রের করণকৌশল
অনেক সরল। চিত্ররচনার ক্ষেত্রটিকে কখনও একটি রং দিয়ে ভরাট করে কখনও বা সরাসরি
কোরা'পাতার ওপরেই তুলির আচড়ে প্রাথমিক রেখাকর্ম করে নেওয়া হত। এরপর বিষয
অনুযায়ী নানা বর্ণে চিত্রফলকটি রঞ্জিত হত। রূপের গড়নের প্রয়োজনে রঙের গাঢ়তার
তারতম্যে আর উজ্জ্বল বর্ণের ছোয়ায় সম্পূর্ণ করা হত রঙের কাজ | তারপর ভারতীয় চিত্ররচনার
সাধারণ নিয়মে প্রথমে ভেতরকার রঙে মাঝারি তুলিতে, এবং শেষে কালো বা লালে সরু
তুলিতে গড়নের বহিঃরেখা টানা হত | ছবিতে ব্যবহৃত রঙের মধ্যে দেখা যায় হরিতালের হলুদ,
খড়িমাটির সাদা, উদ্ভিদজাত গাঢ় নীল, প্রদীপের শিষের কালি, সিদুর লাল, আর নীল ও হলুদের
মিশ্রণে তৈরি সবুজ | সব রংগুলিকেই সাদা মিশিয়ে ইচ্ছামতো হালকা করে নিতেও দেখা যায়।
তবে APA ধ্যান অনুসারে দেবদেবীর ae নির্দিষ্ট হওয়ায় শিল্পীর নিজস্ব রুচির স্থান অন্তত
বর্ণপ্রয়োগের ক্ষেত্রে ছিল সামান্যই:৷ দেবদেবীর ধ্যান অনুসরণে ছবিতে প্রাধান্য পেয়েছে গৌর
বা হলুদ রং, নীল ও সবুজ Af) এমন-কি দেবদেবীর পশ্চাদ্পটেও ঘটেছে লাল ও হলুদের
বিশেষ ব্যবহার। ১৬