গোবিন্দ চয়নিকা | Gobinda Chayanika

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
(17*) জনিয়া পুড়িয়৷ শোকে-দুঃখে HAS অনাদৃত কবিকে আজ আমর তাঁহার কবিতা আলোচনার ভিতর দিয়াই তাঁহাকে স্মরণ করিতেছি। পূর্বেই বলিয়াছি--কবি, পাশ্চাত্য ভাবে প্রভাবান্বিত নহেন। দেশের আকাশ, বাতাস, ফুল, ফল, তরুলতা, বালক-বালিকা, যুবক-যুবতী, পুূজা-পার্বণ ও উৎসবের আনন্দরবই তাঁহার কাব্যলক্ষ্মীকে শোভন-শীতে afes করিয়াছে । কবি যথন গ্রাম্য ছাত্রবৃত্তি স্কুলে পড়িতেন, সেই সময় হইতেই তাঁহার কবি-প্রতিভা! উন্মেষিত হয়। জয়দেবপুরের স্কুলে “বিদ্যোৎসাহিনী” নামে একটি সভা ছিল, বালক গোবিন্দচন্দ্র কবিতা! রচনা Sian সে-সভায় পাঠ করিতেন | ১২৮৫ সালের বৈশাখ (এপ্রিল ১৮৭৮) মাস হইতে কবি ও নাট্যকার রাজকুষ্ণ রায় “বীণা” নামে “নান! বিষয়িনী কবিতা প্রসবিনী” একখানি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন, সেই বীণার পৃষ্ঠায় “ভাওয়ালের কবি গোবিন্দচন্দ্র দাসের কয়েকটি প্রাথমিক রচনার সন্ধান মিলিবে ; মাসিক পত্রের পৃষ্ঠায় মুদ্রিত তাহার প্রথম কবিতা “একদিন” প্রথম বর্ষের ( Stes ১২৮৫ ) বীণাতেই প্রকাশিত হইয়াছিল ।” * সেই যে “বীণায়” প্রথম কবিতা প্রকাশিত হইল,-_আজি হইতে সত্তর বংসর পূর্বে কবির কবিতা সেই প্রথম মাসিক পত্রিকার পৃষ্ঠায় আত্মপ্রকাশ করে ! তারপর দিনের পর দিন নিরঝরের ধারার মত শত বাধা-বিদ্ অভিক্রম করিয়া কবি তাঁহার কবিত্বের Waa ধারায় কাব্যলক্ষ্মীকে সমৃদ্ধ করিয়| গিয়াছেন। যদি কেহ একটু ক্লেশ স্বীকার Sham “বান্ধব”, “নব্যভারত” “সৌরভ, ‘Dacca Review’, সম্মিলনী”, “প্রকৃতি, “জন্মভূমি, ‘adler’, “কৌমুদী” 'ভারতমসিহির', “atts কায়স্থ প্রতিভা, “প্রতিভা, “নারায়ণ”, নব rate “বঙ্গদর্শন”, 'মানসী” প্রভৃতি বিভিন্ন মাসিক পত্রিকাগুলির পুরাণে পাতা উপ্টাইয়| যান, তাহা হইলে দেখিতে পাইবেন--কবি-প্রতিভা কিরূপ অসামান্য বৈশিষ্ট্য প্র্যর্শ্ন করিয়াছে । কবি গোবিন্দ দাস প্রায় শতবর্ষ পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন; এবং বালক বয়স হইতেই কবিতা রূচনায় প্রবৃত্ত হন, কাজেই কবির কবিতার বিশ্লেষণ ও বিচার করিতে হইলে আমরা যেমন শত বর্ষ পূর্বের রাষ্ট্র ও সমাজের কথা ভাবিব, তেমনি লক্ষ্য করিব তাঁহার খষিজনোচিত ভৰবিষ্যং দৃষ্টির প্রতি! এজন্য আমরা কবির এই চয়নিকায় যে ভাবে কবিতা Aer করিয়াছি তাহার পরিচয় দিলাম। যেমন-_ প্রার্থনা ও নির্ভর, যৌবন-স্বপ্ন, স্বদেশ-স্বরাষ্ট্র-সমাজ, পূজা-উৎসব, প্রেম ও মুত্যু, waar ও বিবিধ কবিতা প্রভৃতি শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছি। ইহ! হইতে many পাঠক-পাঠিকার কবির কাব্যের রস ধারা উপলব্ধি করিবার পথ সহজ হইবে বলিয়া মনে করিতেছি। * রাজকৃষ্ণ রায় শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪-১৪ পৃষ্টা WEI |



Leave a Comment