রবীন্দ্রনাথ ও চার অধ্যায় | Rabindranath O Char Adhay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
Se ] রবীন্দ্রনাথ ও চার অধ্যায় Aarts ও আত্মঘর্শন TASH একাস্ততাবে TMT | সমাজঙক্ষেঞ্রে পারস্পরিক সম্পর্কের শিরায়, শিরায় মানবাত্মার প্রাণম্পন্নন। এই প্রাণস্পন্দন অনুভব করা ব্যক্তিমানযের ধর্ম : 'আমার মুক্তি পর্বজনের মনের মাঝে; যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করে| হে বন্ধ? তার চৈতন্তযযের চরম উপলব্ধি : “তুমি যে আমারে চাও, আমি সে জানি ।” মানবাত্মার সঙ্গে জনাত্মার যোগ নিবিড় প্রেমের যোগ যেখানে প্রেমী ও প্রেমাস্পদ সমাত্ম, অভেদাত্ম AH | এটাই প্রেমের প্রকৃতি । কেন এই প্রেমের সত্য বর্তমান সভ্যতায় অবহেলিত? কবি বলেছেন : “মানুষের সব চেয়ে বড়ো! ধর্ম সমাজধর্ম, লোভরিপু সব চেয়ে তার বড়ো হস্তারক। এই যুগে সেই বিপু মানুষের সমাজকে আলোড়িত করে তার সম্বদ্ধবদ্ধনকে শিথিল ও বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে 1’? লোভরিপুর প্রভাব তো চিরকাল ধরেই চলে আসছে | তবে এমন কী ঘটল যার ফলে বর্তমানে এটা এমন রক্তবীজের মতো বিক্রমী ও অবিনাশী হয়ে উঠেছে ? কারণ-আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন : “In the modern civilisation, for which an enormous number of men are used as materials, and human relationships have in a large measure become utilitarian, man is imperfectly revealed, For man’s revelation does not lie in the fact that he is a power, but that he is a spirit.”* মানুষের পরিচয় জৈবিক ক্ষমতায় নয়, তার আত্মশক্তিতে-- যার মূলধন হল moral responsibility, নৈতিক দায়িত্ববোধ। মানের অস্তরে আছে আত্মীয়তার আকাঙ্ক্ষা প্রেমের আকৃতি। দায়িত্ববোধ ছাড়া প্রেম আত্মীয়তা এই শবাগুলি নিরর্থক । দায়িত্ববোধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আত্মকর্তৃত্ব। যার আত্ম কর্তৃত্বের অধিকার নেই তার দ্বায়িত্ব কোথায়। we কি কখনো ‘MR হতে পারে। দায়িত্ববোধ একাস্তভাবেই মানবিক। নিজের স্বেচ্ছাকৃত কাজের জন্য ঢায়িত্ব একটি ছুর্বহ ভার। মানুষ এ ভার বহন করার শক্তি রাখে। কিন্তু যেখানে >. রাশিয়ার চিঠি, র-র ২*, পৃ. ৩৩৬ 2. "The Modern Age”, Creative Unity, Macmillan & Co Ltd.. Calcutta, 1950, pp. 125-26



Leave a Comment