কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র | Kathashilpi Sharatchandra

উপক্রমণিকা ¢ শরংচন্দ্রের রচনারীতি থেকে এইবারে শরংচন্দ্রের রচনার বিষয়ের দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক কিয়ৎ পরিমাণে | সকলেই জানেন শরৎচন্দ্র পুরুষচরিত্র অপেক্ষা নারীচরিত্র অঙ্কনে সমধিক পারদশিতা প্রদর্শন করেছেন৷ নারীচরিত্রগুলির বৈশিষ্ট্য পরিস্ফুট করতে গিয়ে তিনি যেন তার অন্তরের সমস্ত দরদ ঢেলে দিয়েছেন । শুধু যে পল্লী বাংলার মধ্যবিত্ত আর নিম়নবিত্ত স্তরের সাধারণ সতীসাধ্বী পতিগতপ্রাণা গৃহবধু, বালবিধবা, অরক্ষণীয়া অনুঢ়া কন্যা, cat জননী প্রভৃতি নানান ধরনের নারী- চিত্রই তার বর্ণিতব্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা-ই নয় ; সমাজ-পৈঠার বহিভূরত সাধারণের অবজ্ঞাত তথাকথিত পতিতা ও ভ্রফাদের উপরও তিনি Sta শিল্পদুষ্টির মমত্ব অর্পণ করেছেন পরম গুদার্ধে। তাদের বহিরঙ্গ GTS জীবনের অন্তরালস্থিত সহজাত নারীত্বের মহিমাকে রূপায়িত করেছেন একান্ত WHI এইজন্য তাকে সমাজের রক্ষণশীল অংশ থেকে কম নিন্দাবাদ সহ্য করতে হয়নি কিন্তু সমস্ত কটু সমালোচনার aid অগ্রাহ্য করে তিনি Sta মানবিকতার অবস্থানে অবিচলিত থেকেছেন ৷ মানুষের স্থলন-পতনকে অতিক্রম করেও যে তার অস্তনিহিত মানব-মহিমা অজেয় থাকে এই ভাবটিকে তিনি বারবার তার পাঠকের মনোযোগের সামনে তুলে ধরেছেন অকম্পিত ace) সাবিত্রী, রাজলস্মমী, চন্দ্মুখী, বিজলী প্রভৃতি চরিত্র এই মন্তব্যের প্রমাণ। পক্ষান্তরে, পতিপ্রাণা সতী-সাধ্বী নারীর আদর্শ তুলে ধরেছেন বিরাজ-বে (বিরাজ-বো), সুরবাল! (চরিত্রহীন), সরযু (চন্দ্রনাথ ), অন্নদাদিদি (শ্রীকান্ত), যোড়শী ( দেনা-পাওন1 ), প্রভৃতি চরিত্রের মধ্য দিয়ে yeas কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত। আত্মমর্যাদাদৃপ্তা নারীর মহিমা ফুটিয়েছেন পণ্ডিতমশাই উপন্যাসের কুসুম চরিত্রের মধ্য দিয়ে ।(পল্লীসমাজের রমা বৈধব্যের অভিশাপদীর্ণা ও কৃত্রিম সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে বাল্যপ্রণয়ের স্মৃতির নিরস্তর সংঘাতে ক্ষতবিক্ষত- হৃদয়া নারীর এক বেদনাকরুণ উদাহরণ 1) বিন্দুর ছেলের বিন্দু আর রামের সুমতির নারায়ণী, বড়দিদির মাধবী আর মেজদিদির হেমাঙ্গিনীর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে স্লেহবাৎংসল্যের এক অপরূপ স্ত্রিগ্কতার teres) অরক্ষণীয়ার পোড়াকাঠ ভামিনীর চরিত্রে রূপ পেয়েছে কোন কোন নারীর আপাত- রুক্ষতার খোলসের অন্তরালে যে স্নেহের ফল্তধারা বহমান থাকে তার দ্যুতির Bway পল্লীসমাজের জ্যেঠাইম৷ চব্রিত্রে পাই প্রৌঢ়) জননীর বিচক্ষণ সংসারবুদ্ধি ও ন্যায়ের প্রতি পক্ষপাত |