বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
26 MB
মোট পৃষ্ঠা
367
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বোধ করি সব চেয়ে জনপ্রিয়। কমলাকান্ত একাধারে নেশাখোর, পাগল, কবি ও
মানবপ্রেমিক । এই-মমস্ত বিচিত্র গুণের সমাবেশ তাহার জনপ্রিয়তার কারণ। কমলা-
acer উক্তি গুলির আপাতলঘুতার মধ্যে যে গভীরতা, বাহ্ হাস্তরসের মধ্যে যে করুণা
এবং ABS প্রকট BATS প্রলাপের মধ্যে যে fap মনস্বিতা আছে, বাংলা সাহিত্যে
তাহার তুলনা নাই। আগে বলিয়াছি, কমলাকান্ত বন্কিমচন্দ্রের সব চেয়ে জনপ্রিয়
চরিত্র; প্রসঙ্গটটাকে আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা যায় । কমলাকান্তের দপ্তর তাহার
জনপ্রিয় রচনা, কমলাকান্তের অনেক উক্তি ভাষার অঙ্গ হইয়া গিয়াছে, সকলেই ব্যবহার
ক্রে, অথচ জানে না কার উক্তি । কমলাকান্তের স্রষ্টার নাম জানে না অথচ ক্মলা-
কান্তের নাম জানে, এমন লোক থাকাও বিচিত্র নয়। বন্কিমচন্দ্র যে জীবনদর্শন
Carr ধর্মতত্বে কৃষ্ণচরিত্রে ও craters টাকায় ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহাই
রসসাহিত্য-আকারে কমলাকান্তের মুখে দ্বিয়াছেন; এ দিক হইতে বিচার করিলে
কমলাকান্তকে বন্কিমচন্গ্রের মুখপাত্র বলা যায়। পণ্ডিত শিবনাথ “tal “ব্রাহ্মমসমাজের নবোখান' প্রবন্ধে খ্রীষ্টীয় ১৮৬০-৭* এই দশ
WAH AMANITA নবোখানের তথা ব্রাম্মসমাজের চরম প্রভাবের কাল বলিয়া
বর্ণনা করিয়াছেন। ব্রাম্ধসসমাজের এই নবোখানের নেতৃহ্থানীয় হইলেন দেবেন্দ্রনাথ
ও কেশবচন্দ্র। তাহাদ্বের প্রভাবে বহু উচ্চশিক্ষিত যুবক ব্রাহ্মমমাজের প্রতি আকৃষ্ট
হইলেন। তথন তাহার ফলে ব্রাক্মসমাজের ভিত্তি প্রশস্ততর esq সমস্ত বাংলাদেশে
ছড়াইয়া পড়িল। এই নবোখানের সঙ্গে তাল রাখিয়া সাহিত্যেও নবযুগ দেখা দিল।
সত্য কথা বলিতে কি, এই সময়টাকে বাংলাদেশে উনবিংশ শতাব্দীর একটা মাহেন্দ্রক্ষণ
বলা যাইতে পারে। শিবনাথ শাস্ত্রীর 'আত্মচরিত” এবং “রামতন্ত লাহিড়ী ও তংকালীন
বঙ্গসমাজ' নামের গ্রন্থ দুইখানিতে এই সময়ের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাইবে | আচার্য জগদীশচন্দ্র কবি ও বিজ্ঞানীর ব্যবধান-ছুস্তরতায় বিশ্বাদী নন। তাঁহার
মতে কবি ও বিজ্ঞানীর লক্ষ্য এক-_ সত্যাহসস্কান। তবে পথ স্বতন্ত্র বটে। বিষ্ঞানী
প্রমাণ ও যুক্তির খুটি ধরিয়া fsa চলেন, কবি চলেন অঙ্গভূতি ও ayaa ইঙ্গিতে ।
কল্পনা দুজনেরই প্রেরণাদাত্রী; এখানেই নিউটন ও মেক্সপীয়ারের Gas, তিনি
স্পষ্টতঃ বলিয়াছেন- “কবি এই বিশ্বজগতে তাহার হৃদয়ের দৃষ্টি দিয়া একটি অরূপকে
দেখিতে পান, তাহাকেই তিনি রূপের মধ্যে প্রকাশ করিতে coh করেন। অগ্তের
দেখা যেখানে ফুরাইয়া যায় সেখানেও তাঁহার ভাবের দৃষ্টি অবরুদ্ধ হয় না। সেই
অপরূপ দ্বেশের বার্তা তাঁহার কাব্যের ছন্দে ছন্দে নানা আভাসে বাজিয়া উঠিতে
থাকে। বৈজ্ঞানিকের পন্থা স্বতন্ত্র হইতে পারে, কিন্তু কবিত্ব-সাধনার সহিত তাহার [ ১৮]