ফাল্গুনী অমনিবাস | Falguni Amnibus

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
AAA বলেন,-_সে যখন ছিলে বাবা, এখন তো তোমার কিছু অভাব নাই, এত WHA কমাও তুমি। তপন আরও মধুর করিয়া উত্তর দেয়-_বাবাকে একটু সাহায্য করার জন্য আমি চেষ্টা করছি মা,_-আমার বিদ্যে-সাধ্যি অল্প, তাই খুব সাবধানে কাজ করি, যাতে ভুল কিছু না হয়। খাটুনি আমার কিছু লাগে না মা। মিসেস্‌ চ্যাটার্জির আর কিছু কথা যোগায় না। অনেকক্ষণ পরে তিনি বলিলেন,--তোমার জন্য একটা গাড়ী কিনে দিই বাবা। —fe দরকার মা? ট্রামে তো দিব্যি যাচ্ছি-আসছি। কিন্তু পরদিন মিঃ চ্যাটার্জি তপনের জন্য একখানা গাড়ী কিনিয়া আনিলেন। তপন পরদিন নৃতন গাড়ী চড়িয়া অফিসে গেল। বিকেলে ফিরিয়া গাড়ীখানা গাড়ীবারান্দায় রাখিয়া সে জল খাইতে বসিয়াছে, তপতী দেখিল, নূতন গাড়ীখানা দেখিতে খুবই সুন্দর সে অন্য সিঁড়ি দিয়া নামিয়া আসিয়া গাড়ীটাকে লইয়া বেড়াইতে চলিয়া গেল। তপন নীচে আমিয়া দারোয়ানের মুখে দিদিমণির কীর্তি শুনিয়া মৃদু হাসিল এবং ট্রামের পাশখানা পকেটে ঠিক আছে দেখিয়া লইয়া Adar গিয়া ট্রামে উঠিল। রাত্রে ফিরতেই মিসেস চ্যাটার্জি বলিলেন,-_খুকীটা বড্ড দুষ্টু বাবা, তোমার গাড়ী নিয়ে বেড়াতে চলে গিয়েছিল। আবার বক্তে গেলুম, তো হাসে। --নিক্‌ না মা; ছেলেমানুষ, এ গাড়ীটা যদি ওর ভাল লাগে তো নিক-_আমি ট্রামে বেশ যাতায়াত করতে পারি। -_না বাবা, তুমি এমন কিছু বুড়ো মানুষ নও। আর খুকীর তো গাড়ী রয়েছে। তুমি দিও-না ওকে তোমার গাড়ী। উত্তরে তপন মৃদু হাসিল, কিছুই বলিল a | খাইতে খাইতে সে ভাবিতে লাগিল, তপতীর ইহা নিছক ছেলেমানুষি, নাকি ইহার অন্তরালে আরো কিছু আছে? এই দীর্ঘ পনেরদিন একটিবারও তপনের সহিত তাহার দেখা BANS | দুজনেই দুজনকে এড়াইয়া চলিয়াছে; হঠাৎ তাহার জন্য BIS গাড়ীখানা লইয়া তপতীর বেড়াইতে যাইবার উদ্দেশ্য কি? সে কি তপন কিছুই স্থির করিতে পারিল at | খাওয়া শেষ করিয়া আপনার কক্ষে গিয়া শয়ন করিল। কিন্তু ঘুম কি আসিতে চায়। তপতী তাহার পঞ্চবিংশতি বর্ষের জীবনে জ্বালা ধরাইয়া দিয়াছে। তপন এই কয়দিন লক্ষ্য করিয়াছে, যাহাদের সহিত তপতী বেড়াইতে যায়, গান করে, টেনিস খেলে, তাহারা সকলেই আধুনিক সমাজের তরুণ-তরুণী ৷ FA, সভ্য এবং সর্বতোভাবে তপতীর যোগ্য । এত লোককে ছাড়িয়া কেন মিঃ চ্যাটার্জি তনের সহিত কন্যার বিবাহ দিলেন, তপন তাহা ভাবিয়া পায় না, তাহার পিতার সহিত নাকি মিঃ চ্যাটার্জিঘ্ন বন্ধুত্ব ছিল। তপন যখন নিতান্ত ছোট তখনই নাকি মিঃ চ্যাটার্জির কন্যার সঙ্গে তপনের বিবাহের কথা হয়। কিন্তু মিঃ চ্যাটার্জি সে কথা ভুলিয়াই বা রহিলেন কেন,আর আজ এতকাল পরে সেই অঘটনটা ঘটাইয়াই বা দিলেন কেন! কিন্তু ভাবনা, নিচ্ফল। যাহা হইবার হইয়া গিয়াছে। সকালে উঠিয়া স্নান পূজা যথারীতি সারিয়া সে বাহিরে যাইবার. জন্য আজো তাহার গাড়িখানি লইতে আসিয়া দেখিল, তাহারই গাড়ী লইয়া তপতী প্রাতঃভ্রমণে বাহির হইয়া গিয়াছে, এখনো ফিরে নাই। তপতীর গাড়ীটা অবশ্য গ্যারেজেই রহিয়াছে, কিন্তু তপনের উহা লইতে সঙ্কোচ বোধ হইল। শুধু সন্কোচ বলিলে যথেষ্ট হয় না, হয়তো একটু ঘৃণার ২০



Leave a Comment