For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জোর আলোচনা চলে বাঞ্ছার তেলেভাজার দোকানে। Shem টেলারিং হল্*'-এ। গুরুপদ
দে'র “স্বদেশী বাজারে 'র সামনে, প্রভাসবাবুর “পবিত্র খদ্দর ভাগারে'র ভেতরে বাইরে। আর 'সবুজ
সংঘে'র আড্ডায়। আরো আলোচনা চলে ব্রিকালদশী শ্রীমৎ অনন্তহরি ভট্টাচার্যের 'শ্রীশ্রীমহাকালী
আশ্রমে”। জ্যোতিযার্ণব বলেন-_-আগামী মাসে কর্বট রাশিতে রাছুর প্রবেশ-_-বড় সমস্যার
ব্যাপার--দেশের কপালে রাজ-রোষ। অনেক আলোচনা চলে বড়বাড়িতে। এর থেকে ভূমিকম্প
ছিল ভালো। ছিল ১৭৩৮ সনের মতো আশ্বিনে aw) যেবার চল্লিশ ফুট জল উঠেছিল গঙ্গাতে৷
তাও কি একবার! বড়বাড়িতে যারা বুড়ো, তারা জানে সে-সব দিনের কথা। তোমরা তখন
জন্মাওনি ভাই। আর আমিই কি afi না জন্মেছে আমার ঠাকুর্দা। এ কি আজকের দেশ?
কত শতাব্দী আগের কথা। গঙ্গা তো তখন পদ্মায় গিয়ে মেশেনি। নদীয়া আর ব্রিবেণী হয়ে
সাগরে গিয়ে মিশতো। ওই যে দেখছো চেতলার পাশ দিয়ে এক ফালি সরু নর্দমা, ওইটেই ছিল
আদিগঙ্গা, ওকেই বলতো লোকে বুড়িগঙ্গা। তারপর যেদিন কুশী এসে মিশলো গঙ্গার
সঙ্গে, GUNS গেল সরে। ভগীরথের সেই গঙ্গাকে তোমরা বলো ছগলী নদী আর আমরা বলি
ভাগীরথী। তখন হুগলীর নামই বা কে শুনেছে, আর কলকাতার নামই বা শুনেছে কে! প্লিনি
সাহেবের আমল থেকে লোকে তো শুধু সপুগ্রামের পাশের নদীকেই বলতো দেবী সুরেশ্বরী
AH! তারপর উত্থান আর পতনের অমোঘ নিয়মে যেদিন সাতগীর পতন হলো, উঠলো Ben,
সেদিন পর্তুগসীজদের কল্যাণে ভাগবীরথ হলো গিয়ে হুগলী নদী।
গল্প বলতে বলতে বুড়োরা VAAN) বলে--পড়োনি 'হুতোম প্যাচার নক্সা য়-_
'আজব শহর কলকাতা,
রীড়ি বাড়ি জুড়ি গাড়ি মিছে কথার কি কেতা।
হেতা ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে বলিহারী এক্যতা,
যত বক-বিড়ালী eae, বদমাইসির ফাঁদ পাতা-_”
চূড়ামণি চৌধুরী আলিপুরের উকীল। বলেন-_আরে কিপলিং সাহেবই তো লিখে গিয়েছে-_
Thus from the midday halt of Charnock
Grew a city.....
Chance-directed chance-erected laid and
Built
On the silt
Palace, byre, hovel, poverty and pride
Side by side...
বড়বাড়ির নতুন মালিকরা সেই সব দিনের কাহিনী জানে না। গড়গড়ায় তামাক খেতো নাকি
ওয়ারেন me আমাদের মতন। বড় বড় লোকদের নেমন্তন্নের চিঠিতে লেখা থাকতো "মহাশয়
অনুগ্রহ করে আপনার ছুঁকোবরদারকে ছাড়া আর কোনও চাকর সঙ্গে আনবার প্রয়োজন নেই ।
আর সেই জব চার্নক। বৈঠকখানার মস্ত বড় বটগাছটার নিচে বসে SEH খেতো, আড্ডা জমাতো
এবং সন্ধ্যে হলেই চোর-ডাকাতের ভয়ে চলে যেতো ব্যারাকপুরে। বিয়েই করে ফেললে এক
বামুনের মেয়েকে। FER কলকাতা, গোবিন্দপুর আর সৃতানুটীতে বাস করবার জন্যে নেমন্তন্ন করে
বসলো সকলকে। একদিন এল পর্তুগীজরা। এখন তাদের দেখতে পাবে মুরগীহাটাতে। আধা-
ইংরেজ, আধা-পর্তুগীজ | নাম দিয়েছিল ফিরিঙ্গী। ওরাই ছিল ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর প্রথম
যুগের কেরানী। তারাই শেষে হলো ইংরেজদের চাপরাশী, খানসামা আর ওদের মেয়েরা! হলো
মেমসাহেবদের আয়া। আর এল Grew! তাদের কেউ কেউ CUA, কান্দাহার, আর
কাবুল হয়ে দিল্লী এসেছিল। কেউ এসেছিল জরাট, সুরাট, aR, বেহার হয়ে। তারপর
চুঁচুড়াতে থাকলো কতকাল। শেষে এল কলকাতায়। ওদের সঙ্গে এল AS, এল BA. এল
হিন্দু-মুসলমান-_সবাই।
এমনি করে প্রতিষ্ঠা হলে৷ FABIA CAF ১৬৯০ সালের কথা। ৩