গল্প সমগ্র | Galpo Samagra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
—cA কী? তোমার che এদিকে গেছে কখনও বুঝিনি তো? আমরা কখন ছবি দেখব?! টুবলু রয়েছে না?' , -ুবলুকে না হয় টিউটোরয়্যালে দিয়ে দাও। না-কিনলে বোধহয় লকম্ষ্মীকে আর রাখা যাবে না' বলতে বলতে মিতু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে থাকে। সুজিত চিন্তিত হয়ে WA, তো। কিন্তু অত টাকা স্পেয়ার করার তো আমার উপায়ই নেই। ইন্কামট্যাক্স আ্যাভয়েড করতে প্রতি বছর উদ্বৃত্ত টাকাগুলো ইনভেস্ট করতে হচ্ছে। করে টরে ডাইনে আনতে বাঁয়ে কুলোয় না। তবে এক কাজ করো, ও যদি হপ্তায় একদিন ভিডিও দেখতে যেতে চায় ছেড়ে দিয়ো। এ ছাড়া তো আমি আর কোনও উপায় দেখছি at’ রবিবার ACH সাতটা। মিতুর দাদা-বউদি সোনারপুর থেকে বেড়াতে এলেন। গলদরঘর্ম সুজিত দরজা খুলে দিল। — ICA আরে আসুন দাদা, বউদি আসুন, মিতু দেখে যাও মিতু বেরিয়ে এল। আরেক গলদরঘর্ম ব্যাপার। দাদা বললেন-_কী ব্যাপার সুজিত, গায়ে হাতে পায়ে ময়লা লেগে, ঘেমে নেয়ে গেছ! সুজিত বলল-_- 'আর দাদা সারা মাস সময় পাইনি। আজ পাখাগুলো, জানলার শার্সি, দরজা-টরজা সব সাফ করছিলুম। বসুন আমি চট করে চানটা সেরে আসি। বউদি বললেন-_মিতু, তোর এ দশা কেন রে?' মিতু বলল-_'সারা সপ্তাহের মাছ মাংস এনেছে আজকে, সবজি-টবজি সব। সারা সকাল তো সেই করেছি, তারপর ছিল কাচাকুচি, বেডকভার, পর্দা, বড্ড চিটচিট হয়েছিল গো। এখন রান্না করছি, কালকের Fa করে রাখব।' বউদি বললেন-_-'ভালই করেছিস। লোক নেই যখন, তখন কাজ এগিয়ে রাখা ভাল। আমি তো সব সময়ে আটচল্লিশ ঘণ্টা এগিয়ে থাকি ।' দাদা বললেন-_ “বছরভর বাসি খাচ্ছিরে মিতু, তোর বউদির ওই আটচল্লিশ ঘণ্টার বাতিকে আমার পেটের বারোটা বেজে গেল।' সুজিত বলল-_'কে বললে আমাদের লোক নেই?' মিতু একগাল হেসে বলল-_'লোক আছে, খুব ভাল লোক গো! দাদা-বউদি দুজনেই সামান্য আগে পরে বললেন-_'সে কী রে? লোক আছে তো তোরা aa...” মিতু বলল-_'আজ ও ভিডিও দেখতে গেছে আরেক বাড়ি, দুপুরে বারোটা থেকে রাত্তির বারোটা” —‘ CS) কালকের সুদ্ধু রান্না করে রাখছিস যে! -_'বারোটা অন্দি ভিডিও দেখে কি কাল আটটার আগে উঠতে পারবে বউদি। তারপর চানটান, জল খাওয়া সারতে সাড়ে নটা। পুজোয় বসে একবার। ততক্ষণ ওর অফিস শুনবে?' --'বেডকভার, পর্দা এসব তোকে কাচতে হচ্ছে কেন?” -_'বারে, লোক বলে কি সে মানুষ নয়? বেডকভার পর্দা কাচতে কষ্ট হয় না বুঝি?' ৮



Leave a Comment