রবীন্দ্রকাব্যের শেষ পর্যায় | Rabindra Kabyer Shes Paryay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রাকৃ-কথ। মহাকাশের অসংখ্য নক্ষত্র এবং সমুদ্র বক্ষের অনস্ত তরঙ্গলীলার মতই রবীন্দ্র নাথের কাব্যের লীমাহীন বৈচিত্র্য। মনন এবং সর্বোপত্রি ভাবোচ্ছবাসিত কল্পনার অবাধ বিচরণ পাঠককে বিস্ময়াবিষ্ট করে রাখে । রবীন্দ্রকাব্য দেশ- কালের সীমায় আবদ্ধ হলেও তা দেশকালোত্তীর্ণ। ইহকাল এবং চিরকালের মধ্যে সমন্বয় সাধনই রবীন্দ্রকাব্যের অন্যতম প্রধান zz | বাংল৷ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা রবীন্দ্রনাথের দ্বারা পুষ্ট হুয়েছে। ওপন্তযালিক, নাট্যকার, গল্পকার বা প্রাবন্ধিক হিসাবেও তিনি অনন্য ; কিন্ত সর্বোপত্রি তেনি কবি । সাহিত্যের নানা চর্চার মধ্যে সর্বত্রই তার কবিস্বভাব জঅয়যুক্ত হয়েছে । তিনি ery অন্ভূতিলম্পন্ন ai) তার অঙুভূতির দপ্পণে ধরা দিয়েছে জগৎ ও জীবনের নিগুঢ় রহস্ত। এই রহস্তান্ভূতির waaay প্রকাশ তার কা।ব্য-সম্ভার | এই প্রকাশ সর্বত্রই তার নিজস্ব ভঙ্গীতেই হয়েছে | কোন বিশিষ্ট রীতি বা সাধনের পরিপোষক তিনি হন নি 1 ক্ষুদ্র, খণ্ড বা সামার মধ্য দিয়ে বৃহৎ এবং অলীমকে লাভ করার ব্যাকুলতা সমগ্র রবীন্দ্রকাব্যে পরিব্যাপ্ত। জীবনের কোন ঘটনাই তার কাছে বিচ্ছিন্ন কিছু নয় । সর্বত্রই তিনি অনস্তের হুর BRST করেছেন। «FANS HCH মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে । এই Hale আবার Bley পুণতা লাভ করে, ব্যক্তিজ্জীবন সার্থক হয় বিশ্বজীবনের সঙ্গে মিলনে । ব্যক্ত-অব্যক্ত, খণ্ড-পূর্ণ এবং সাঁমা-অসাীমের এই লীলাকে রবীন্দ্রনাথ সমগ্র জীবন ধরে উপলব্ধি করেছেন এবং এই উপলকব্ধিরই অপুর্ব নিদশন তার কাব্যগুলি। জীবন রবীন্দ্রনাথের কাছে বিচ্ছিন্ন সত্তার প্রকাশ নয়। একটি অনাদি অনস্ত প্রাণ-প্রবাহের অঙ্গীভূত করেই তিনি জীবনকে BRST করেছেন | তাই মৃত্যু তার কাছে স্বতন্ত্র কিছু নয়, জীবনেরই একটি ভিন্নতর প্রকাশ মাত্র। এই ভাবোপলক্ধি সম্পূর্ণ রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব এমুন কথা বলা না গেলেও, অনুভূতির প্রকাশে নিজস্বতা অনস্থীকাধ। এই চিরকালীন অবিনস্বর প্রাণ- প্রবাহের ধারণা আমাদের প্রাচীন এতিহের মধ্যে স্বীকার করা৷ হয়েছে | রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিকে আপন প্রাণ-চেতনার আলোকে প্রকাশ করেছেন-_



Leave a Comment