প্রবন্ধ সংগ্রহ [খণ্ড-১] | Prabandhasangraha [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অশ্ব বা হরিণের দ্রুতগতি, বিচিত্র রঙিন প্রজাপতি বা বাহারি ফুলের বৈচিত্র বিস্ময়ের উদ্রেক করে। এখনো এইসব শিল্পকর্মের নমুনা ব্যক্তিগত মালিকানায় কর্তা বা ঠাকুর পরিবারের লোকজনের কাছে রয়েছে। কোমর তাতে রিয়া জাতীয় বস্ত্রশিল্প বা বাঁশ, বেত ইত্যাদির শিল্পকলার সঙ্গে বাঙালীর শিল্পচর্চাও রাজ অস্তঃপুরে ঢুকে পড়েছিল। মহারাজ প্রতীত প্রথম বাঙালী মেয়ে বিয়ে BCAA | রাজমালায় লেখা আছে -_ “সেদিন থেকে বাংলাদেশের শিল্পকলাও ত্রিপুর অন্কশায়িনী হইলেন। রাজধর মাণিকো্যের পুত্র রামগঙ্গা মাণিক্য শ্রীহট্ট প্রদেশের বঙ্গকন্যা চন্দ্রতারা দেবীকে বিয়ে BCAA | তাঁর সঙ্গে যে দুজন সঙ্গিনী আসেন তাদেরই একজন হলেন সরস্বতী দেবী। তিনি মহিম কর্ণেলের ঠাকুরমা | এঁদের সঙ্গে শ্রীহট্রের সূচিকাশিল্প এরাজ্যে আসে। শ্রীহট্ট প্রদেশের সূচিকা শিল্প একটি সুকুমার শিল্প বিশেষ। মহিম কর্ণেল লিখেছেন 'মহারানী চন্দ্রতারা দেবী গরীব ঘরের মেয়ে ছিলেন। ছিন্নবস্ত্র দ্বারা তিনি কাথা সেলাই করিতেন — একার্যে তার খুব সুখ্যাতি ছিল৷ তার সঙ্গের সহচরী দুজন রান্নায়ও খুব নিপুণা ছিলেন। তারা রাজবাড়ীতে রাঁধুনীর পদ পান।' এদের একজন বলরাম দেওয়ানের মা এবং সরস্বতী দেবী মহিম কর্ণেলের ঠাকুরমা সরস্বতী দেবী ABA এবং ব্রতের আলপনা আঁকায় খুব পটু ছিলেন। লক্ষ্মীপূজা ও মনসা পূজা করার জন্য তিনি মহারানী চন্দ্রতারা দেবীর কাছ থেকে অভয়নগর জমিদাবী পেয়েছিলেন। মহিম কর্ণেল তার “দেশীয় Aten’ গ্রন্থে ত্রিপুরার শিল্প পরিচ্ছেদে উল্লেখ করছেন QA— 'তার ন্যায় সূচিকার্যে নিপুণা এরাজ্যে কম ছিল। দুঃখের বিষয় তাহার রচিত সূচিকার্যের দ্রব্য আমরা দেখিতে পাই নাই। আমার জন্মিবার বহু বৎসর পূর্বে আমাদের গৃহদাহ BW .... সেই সঙ্গে শিল্পাদর্শ অগ্নিসাৎ হইয়া গিয়াছিল। তাহার কন্যা সন্ধ্যামালা দেবীর নিকট তাহার একখানা সূজনী মাত্র আমরা পাঁইয়াছিলাম। ১৯১৫ খ্রীষ্টাব্দে মাতৃদেবী যখন তীর্থদর্শনে বদরিকা গ্রামে গিয়াছিলেন তখন সেই সময় এই শিল্পাদর্শ সৃজনীখানা তিনি নারায়ণকে দান করিয়া আসেন | মহিম কর্ণেলের উল্লিখিত এই সূৃজনীশিল্প রাজ অন্দরমহলে চর্চার মাধ্যমে সৌন্দর্যের চরমে পৌছেছিল। এই প্রসঙ্গে পদ্মকাটা মশারি বা পদ্মের পাপড়ির অনুসরণে মশারির চার মাথায় ঝালর দেয়া বিশেষ ধরণের মশারির উল্লেখ করা যেতে পারে। রাজ অস্তঃপুরে এধরণের অত্যস্ত শিল্পশ্রী সমন্বিত মশারি ব্যবহারের প্রচলন ছিল। বলাই বাছল্য ক্রমে এ শিল্প অস্তঃপুরের বাইরে সম্পন্ন ঠাকুর সমাজ ইত্যাদিতেও প্রচলিত হয় ॥প্প শিল্প দ্রব্যাদির শ্রেণী বিভাগ সম্পর্কে মহিম কর্ণেল লিখেছেন, “ত্রিপুরা রাজ্যের সমস্ত শিল্প দ্রব্যাদি শ্রেণী বিভাগ হইয়া নানা শ্রেণীতে ব্যবহৃত হইত। এখনও অনেক জিনিষ সেভাবে ব্যবহার হইতেছে। রাজার রানী যাহা ব্যবহার করিতেন রাজপুত্র বধূগণ তাহা ব্যবহার করিতে পারিতেন না। ভিন্ন আদর্শে তাহাদের শিল্পদ্রব্য প্রস্তুত হইত অর্থাৎ শ্রেণী ১৪



Leave a Comment