For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)মধ্যে সেটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বরং কলকাতায় এলে যৌথ বাড়িব হৈ-চৈতে হাফিয়ে
উঠাতেন। বিয়ের বছর ঘুরতেই ভালোবাসার ফসল তমাল তাদের দজনের মধ্যের জীয়গাটুকুতে
Bat কারে নিল। প্রতুলের কপট হিংসুটেপনায় মস! পেতেন। তমাল ঘুমিযে আছে দেখে তলবাবু স্ত্রীর প্রতি তার অনুরাগ জানাতে গেছেন এমন সময তমাল জেগে উঠে Pal শুরু করল। ছেলেকে ANG করে স্বামীর প্রতি মনোযোগ দিতে গিয়ে দেখতে পেতেন এতক্ষণ
CAE করার পর ASA ঘুমিয়ে পড়েছেন। ভোরের ট্রেনেই ট্যুর। স্বামীর ঘুমশ্রাড্ত
শরীরটাকে আর জাগাতেন A আবার যখন প্রতুলবাবু তার কয়েক দিনের ট্যুর সেরে বাড়ি
ফিরতেন ছোটো তমাল বাবার কোলে আঁকড়ে থাকত। TT ছাড়া পেত তখন দুটি Ta
হৃদয় পরস্পর পরস্পরকে শুষে নিতে চাইত। দুটি শরীরের উন্মাদ কম্পন ফ্ল্যাটের প্রতিটি
বস্তকেই যেন লজ্জার ঢাকনার আড়ালে যেতে বাধ্য করত। শত সাবধানতা সত্ত্বেও অমিয়া দেবী তাবিদ্কার করলেন তিনি আবার মা হতে চলেছেন,
কোনো CASE মুহূর্তে ভালোবাসার উদ্দামতা যে লোহার বাসর ঘরেব ছিদ্র বেয়ে জঠবে
নতুন প্রাণের স্পন্দন সৃষ্টি করেছে তা তিনি বুঝতে পারেন নি। তমালের বয়স তখন তিনেব
Sais পেরিয়ে চারের দরজায় পৌছাতে চলেছে। অমিয়া দেবা ভেবেছিলেন প্রতুলবাবু নিজে থেকেই এর একটা ব্যবস্থার কথা বলবেন।
অথচ এই খবরে তিনি আনন্দে উচ্ছল হয়ে উঠেছিলেন। তার আশা এবার তাদের ঘরে
নিশ্চয়ই কন্যারত্বের আবির্ভাব হচ্ছে। তার নামও ঠিক করে ফেলেছিলেন। অমিয়া দেবী তার এই দ্বিতীয়বারেব গর্ভবতী হওয়ার ঘটনাকে মেনে নিতে পারছিলেন
না। একদিকে তমালের দেখা শোনার ব্যাপার, অপর দিকে স্বামীর সহকর্মীদের স্ববীদের সাথে
মাঝে মধ্যে নানা ধরনের পার্টির ঘূর্ণীতে একটু একটু করে অভ্যস্ত হতে শুরু WA! ফলে
গর্ভবতী হওয়ার ঘটনাকে আধুনিকাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়াকে লজ্জাজনক বলে মনে
করেছিলেন। প্রতুলবাবুর পরিচিত ডাক্তারের সাহায্যে গর্ভপাত করিয়ে এসেছিলেন। প্রতুলবাবু ঘটনাটিতে বেশ আঘাত পেয়েছিলেন। তার অমতে তাদের চিকিৎসক বন্ধুটির
একাজ আইন বিরুদ্ধ হলেও এ নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেন নি। অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে
নিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে বলতেন, ঘরে একটা কচি মেয়ে না থাকলে ঘরটাই ফাঁকা লাগে। অমিয়া দেবী বুঝতেন কথাগুলি তার উদ্দেশ্যেই বলা Sry | স্বামীর পাশে একটু ঘনিষ্ঠ
ভাবে বসে বলতেন, তুমি কি করে জানলে আমাদের এবার মেয়ে হতো? অভিমানে কোনো জবাব দিতে চাইতেন না প্রতুলবাবু। অমিয় দেবীকে অনেকক্ষণ ভাপেক্ষা
করতে হতো। প্রতুলবাবু বলতেন, আমার মনে হয়। অমিয়া দেবীর মনেও ক্রমে ক্রমে কেমন একটা অপরাধ বোধ জায়গা নিতে শুরু করেছিল।
নিজেকে মাঝে মধ্যে খুনি বলে মনে হতো। কোনো কোনো দিন স্বপ্ন দেখতেন, অন্ধকার
থেকে দুটি কচি হাত তার দিকে বাড়িয়ে আছে। তিনি তার শরীরের কোনো অংশ দেখতে
পাচ্ছেন না অথচ তার কান্না শুনতে পাচ্ছেন। ঘুম ভেঙে যেত। দেখতেন তার সাবা শরীর
ঘামে ভিজে গেছে। প্রতুলবাবুকে বলতেন, তুমি আমাকে আরেকবার সুযোগ wie) আমি
তোমার মেয়ের মা হতে চাই। সেদিন কোম্পানীর জরুরী মিটিং-এ প্রতুলবাবুর দিল্লি যাবার কথা। সঙ্গে কোম্পানীর
বড় কর্তা। আজকের দিনটা Ba কাছে থাকার ইচ্ছেটা প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছিল। স্বামীর So