বিষাক্ত গাছ থেকে সাবধান | Bishakta Gachh Theke Sabdhan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিষাক্ত গাছ থেকে সাবধান (৩)আ্যামিন এরা আ্যামিনো আ্যাসিড থেকে উৎপন্ন | ইহাদের মধ্যে কয়েকটি বিষাক্ত ও দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী এবং ছত্রাকে আইসো আ্যামাইলামিন রূপে পাওয়া যায় । উচ্চতর উদ্তিদে আ্যামিনের পরিমান অত্যস্ত কম | খে) গলুকোসাইড এরা একগুচ্ছ জৈব যৌগ এবং বিভিন্ন উদ্ভিদে fags | চিনি অথবা ইহার কাছাকাছি যৌগ অথবা ফিনাইল, আ্যালডিহাইড, আ্যালকোহল ইত্যাদি গ্লুকোসাইডের মিশ্রনে তৈরী হয় | গ্লুকোসাইডের মধ্যে সবগুলিই বিষাক্ত নয় । উল্লেখযোগ্য বিষাক্ত গ্লুকোসাইড গুলি হলো হাইড্রোসায়ানিক আ্যাসিড, আ্যামিকডেলিন, ফেজিওলোনেটিন যা সিম গাছে পাওয়া যায়, গাইনোকার্ডিন, চালমুগ্রা বীজে বিস্তৃত | এছাড়া এর চেয়েও বশৌ বিষাক্ত গ্ললকোসাইড হলো সিনিগ্রিন, সিনালবীন যারা সাদা ও কালো সরিযায় বিস্তৃত । জীবন সংশয়কারী গ্লুকোসাইডের মধ্যে ডিজিট্কসিন্‌ ডিজিবৌলিন, থিবেটিন, স্ট্রোফানটিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য | (গ) সেপোনিনঃ প্রায় একহাজার প্রজাতির উদ্ভিদে সেপোনিন পাওয়া যায় | সেপোনিন জলের সাথে ভালভাবে মেশালে ফেনা উঠতে থাকে । এরা অত্যস্ত তেতো এবং এদের শুষ্ক পাউডার চামড়ার সংস্পর্শে এলে ত্বক অত্যস্ত জ্বালা করে | ঠান্ডা রক্তের প্রাণীদের ক্ষেত্রে সেপোনিন অত্যন্ত ক্রিয়াশীল এবং ক্ষতিকারক বলে জলের সাথে সেপোনিন ১ঃ ২০০০০০ অনুপাতে মিশালেও ইহারা মাছের মৃত্যু ঘটায় । নদী TANT সেপোনিন যুক্ত গাছ কেটে থেতো করে জলে মিশিয়ে মৎস শিকার করা হয় | উষ্ণশোনীত প্রাণী৷ অর্থাৎ গৃহপালিত পশু ও মানুষের ক্ষেত্রে সেপোনিন পাকস্থলী ও খাদ্যনালীর অভ্যস্তরে অত্যস্ত অস্থিরতা উৎপন্ন করে যার ফলে বমি এবং পরবর্তী সময়ে পাতলা পায়খানা, শরীরে খিচুনি ইত্যাদি শুরু হয় | রক্তের সংস্পর্শে এলে সেপোটক্সিন মানুষের রক্তের কোষগুলিকে ভেঙ্গে দেয় এবং মৃত্যু ঘটায় | (ঘ) বিষাক্ত প্রোটিন উদ্ভিদের বিষাক্ত প্রোটিন গুলিকে টকৃসআ্যালবুমিন বলে । এবা ক্যাসিয়া, ক্রোটন, কেষ্টরইত্যাদিইউফরবিয়েসী গোত্রের উদ্ভিদে বিশেষভাবে বিস্বৃত । উল্লেখযোগ্য বিষাক্ত প্রোটিন হলো একুসিন, ক্রোটিন, কস্টিন, বিসিন | এরা বাস্তবে রক্তেব সাথে বিক্রিয়া করে দ্রুত বক্ততঞ্চন ঘটায় এবং আত্রাণস্তের মৃত্যু ঘটে | ১৪



Leave a Comment