সতীনাথ ভাদুড়ী জীবন ও সাহিত্য | Satinath Bhaduri Jiban O Sahitya

প্রথম BAATa জীবনী ॥ক॥ বনফুল সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে সতীনাথ তাছুড়ী অভিমত প্রকাশ করেছিলেন:--.“লেখা থেকে লেখকের ব্যক্তিগত চরিত্র বা রুচি সম্বন্ধে কোনো ধারণা করে নেওয়া ভুল, জানি; কিন্তু আবার না করেও পারি না ।১.-*** সাধারণভাবে কবি এবং সাহিত্যিকদ্বের জীবন বিধৃত থাকে তার রচনার মধ্যে । নিজের বিষয়ে যার] লীরব থাকতে ভালোবাসেন, faeces সাহিত্য সাধন| করেই যারা Ola পান, জ্ঞান-তাপস থেকে আত্মমগ্ন সাধনায় পিজের জীবন উৎসর্গ করে যান, এমন TRI সাহিত্য ক্ষেত্রে Ws নয়; সতীনাৎথ ভাছুড়ী এমনই একজন মানুষ ছিলেন, যিনি নিজের সম্পর্কে খুব কম কথাই বলেছেন, তার ডায়েরিতেও ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ বেশী নেই । বন্ধুবান্ধব এবং পরিজনের মধ্যে থেকেও তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ আড়াল করে রেখেছিলেন | ‘ofan জেলা স্কুল শতবাধিকী' সংখ্যায় প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে রচিত স্বতিকথায় সতীনাথ লিখেছিলেন*-: “আমি মরে যাবার দেড় শ' বছর পরে, আমার CHS গাছ স্কুলের সৌন্দ্ধ বাড়াবে, এ ভাবে ভাবতে পারেন কজন শিক্ষক ? জ্ঞান, সুরুচি, gaye, কর্তব্যনিষ্টা ছাড়াও, এর জন্য দরকার হয় আত্মবিলোপনের ক্ষমতার ”*২ এই আত্মবিলোপনের সাধনায় তিনি নিজে আজীবন ay ছিলেন | কিন্তু কোনে| একটি বিশেষ রচনায় ব্যক্তি সতীনাথ প্রচ্ছন্ন বাকলেও একে- বারে বিলুপ্ত হয়ে যান নি। তীর সমগ্র রচনার মধ্য foc বিক্ষিপ্ত ভাবে খষি- সুলভ সাধনা, সত্যনিষ্ঠা, আন্তরিক জীবনবোধ ও Weer দৃষ্টিভঙ্গীর অধিকারী সচেতন পাঠপিপাস্থু মানুষটিকে চিনে নিতে অসুবিধা হয় না, সতীনাথের সাহিত্যের সাক্ষ্যেই ভার জীবনসাধনার স্বরূপ Grade, সচেতন wavy পাঠকের উন্মোচনের অপেক্ষায় | বস্তুতঃ তিনি নিজেকে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে একেবারেই আগ্রহী ছিলেন না। গুণমুদ্ধ সাহিত্যিক বিমল কর তার সম্পর্কে যথার্থই বনোছেন, “সংস্কৃতির পীঠস্থানে পগ্রণামী ফেলতে আসার লোক তিনি নন ।”* >