গদ্য সংগ্রহ [খণ্ড-১] নাট্যচিন্তা | Gadya Sangraha [Vol. 1] Natyachinta

তাদের এই উত্তর দিয়ে তৃপ্তি পেয়েছিলাম- কারণ আইজেনস্টাইনের চলচ্চিত্রে পোটেমকিনের নাবিকরা আত্মসমর্পণ করে না [যদিও বাস্তবে করেছিল] বাস্তব ও বাস্তবোত্তরের মধ্যে একটা APIs সম্পর্ক রচনার ক্ষেত্র রয়ে গেছে বাস্তবের মধ্যে নিহিত অন্তর্ছম্্ব বা বিরোধের উদ্ঘাটনে। বাস্তবের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তারই টানাপোড়েনে, WTSI সংঘাতে বাস্তবোত্তর সম্ভাবনা রূপ পরিগ্রহ করে। তাই 'গণনাট্য সংঘস্য নবনাটকম্্‌*কে ব্যঙ্গ করে তিনি দাবি করেন বিপ্লবীর মানবিকতা, 'ত্রিশঙ্কুর দোদুল্যমানতা' 'নীতিগত সংশয' ইত্যাদির প্রকাশে নাটকের চরিত্বেরা হোক "দর্শকদের আত্মোপলকব্ধির welt “সর্বহারা নায়ক হবে আজকের হ্যামলেট। সে একাধারে জটিল ও সরল। বহু ব্যক্তিগত দুর্বলতায় সে জটিল, আর শ্রেণীশত্রুর প্রতি আপোশহীন gra সে সরল, খজু, নিঃসংশয়। . তীব্র ঘৃণা আর বিশাল ভালোবাসা একই সঙ্গে কী করে বিপ্লবী চেতনায় বাস কবে আব পবস্পরের ওপর প্রভাব ছড়ায়, এটা বুঝতে হবে। তবে সৃষ্টি হবে সত্যিকারের পূর্ণাঙ্গ পাশের Wes সেই লোকটি যে হঠাৎ হয়ে ওঠে মহাবীর যোদ্ধা, শহিদ, নবযুগের দৌবাবিক।” ওই মানবিক, ‘awa’ পরিচয় ছাড়া কোনো নায়ক বা বিপ্লবী চরিত্র অগম্যই থেকে যান, দর্শক তার জীবন বা কর্ম থেকে কোনো তাৎপর্য আবিষ্কার করেন না। নকশালবাদী তরুণদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, আবার তাদের রবীন্দ্রবিরোধিতার কঠোর সমালোচনা, 'ব্যাপকতম সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট'-এর পক্ষাবলম্বন (এখন জাতির আত্মবিকাশেব লড়াই, এ লড়াইয়ে শত্তু-বিজন থাকবেন না তো কি বাক্যবীরেবা থাকবেন?”), আবার পার্টির প্রতি আনুগত্যের দাবি (বাজনৈতিক নাটককে এরকম নেতিবাদ থেকে রক্ষা করার একমাত্র পথ হচ্ছে মার্কসবাদে দীক্ষা, পার্টির নিকটে থাকা, প্রতি মুহূর্তে শ্রেণীসংগ্রামের বর্তমান স্তর ও শক্তিবিন্যাস অধ্যয়ন করা, কোন রাজনীতিটা এই মুহূর্তে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন সেটা CAN | সেটা কোনো নিঃসঙ্গ, বিচ্ছিন্ন, এলিয়েনেটেড নাট্যকারের পক্ষে সম্ভবই না, যদি না সে পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয।”), শ্রেণীসংগ্রামের লক্ষ্যাবলম্বন আবার ধর্মকে আক্রমণ করার প্রশ্নে সতর্কতা, এই বিভিন্ন অবস্থানগুলির মধ্যে অনেরু সময়ই যুক্তি ও তথ্যের ভিত পোক্ত হতে পারে না,অসংগতি ও অন্তর্বিরোধ প্রকট হয়ে ওঠে, জপেনদার বাক্যবীর্যই প্রবল হয়ে ওঠে | তবে একটা সময় যখন বাদল সরকার ও তার অনুপ্রেরণায় ও নেতৃত্বে চালিত অঙ্গন ও মাঠের থিয়েটারের আন্দোলনকে শেখনার ও জুলিয়ান বেক-জুডিথ মালিনার থিয়েটারের সঙ্গে একেবারেই অভিন্ন কল্পনা করে নিয়ে জপেনদা তার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু স্থির করে নেন বা শেখর চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ম্যাক্স্ম্যুলার ভবনে টানক্রেড VI বা ফ্রান্ৎস্‌ NCSA ক্রোয়েট্স্‌-এর নাটকের প্রযোজনাকে আক্রমণ করেন, তখন শোনা কথার উপর রঙ চড়িয়ে ছায়ার সঙ্গে লড়াই হয়ে দাড়ায় তার যাবতীয় উদ্‌গার। প্রাতিষ্ঠানিক বামশক্তি বিকল্প বামপন্থী চিন্তা ও সমাবেশের যাবতীয় সম্ভাবনাকে বিনাশ করতে খেপে উঠে বা স্বপক্ষীয়দের দোষত্রুটিদুর্বলতাকে প্রশ্রয় দিয়ে যুক্ত ফ্রন্ট-এর আদর্শকে বারবারই স্কুল করেছে, বিপর্যন্ত করেছে; এই পরিস্থিতিতে অসত্যই তার অস্ত্র হয়েছে, মতাদর্শ বা বিচার লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে। সত্তরের দশকে তৃতীয় থিয়েটার প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক থিয়েটারের বিকল্প এক রাজনৈতিক থিয়েটারের যে সম্ভাবনা তুলে ধরে (ও আজও ১৮