আচার্য্য-বাণী [খণ্ড-১] | Acharya-bani [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
1/০ প্রফূপ্চন্্র ১৮৮০ খৃষ্টাৰে দ্বিতীয় বিভাগে এফ. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষার কয়েকমাস পূর্বের তিনি বিশেষ অসুস্থ zea পড়েন। হরিশ্চন্দের ইচ্ছা ছিল, তিনি পুত্রগণকে বিলাত পাঠাইয়া তথায় সকলকে উচ্চশিক্ষা দিবেন। কিন্তু ক্রমশ: তাঁহার অবস্থা ক্ষীণ হইতে থাকায়, তিনি স্বীয় ara কার্যযে পরিণত করিতে না পারিয়৷ বিশেষ দুঃখিত হইয়া পড়েন। প্রফুল্পচন্ত্র পিতার মনোভাব অনেকটা অবগত ছিলেন, তাই ধীরে ধীরে গিলক্রাইই ( Gilchrist) বৃত্তিপরীক্ষার ae আপনাকে প্রস্তুত করিতে থাকেন। ১৮৮২ খুঃ Ora তিনি উক্ত পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া বৃত্তিলাভ করেন। ১৮৮২ খুঃ অৰে বি.এ. পরীক্ষা দ্বেওয়ার পূর্বেই পগ্রফুল্পলচন্ত্র বিলাত যাত্রা করেন। বিলাতে গিয়া তিনি যখন বুঝিলেন, ভারতের মুক্তি ইংরাজী ভাঁষা বা ইতিহাসের ভিতর দিয়া আসিবে al, বিজ্ঞানশিক্ষার দ্বারাই তাহা সম্ভাবিত হইতে পারে, তখনই তিনি তাঁহার প্রিয় সাহিত্য ও ইতিহাসের চর্চা ছাড়িয়া বিজ্ঞানশিক্ষায় আত্মনিয়োগ করিলেন। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়া স্তুবিথ্যাত অধ্যাপক পি. জি. টেইট. ও এ. সি. ব্রাউন্‌ সাহেবের নিকট পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নশান্ত্র শিক্ষা করিতে লাগিলেন। ইহাদের শিক্ষাগুণে প্রফুল্লচন্ত্র অতি Fez বিজ্ঞানান্তুরক্ত মেধাবী ছাত্র বলিয়া গণ্য হইলেন | কলেজের নির্দিষ্ট কালের পর তিনি খুব অল্প সময়ই পাঁঠে ব্যয় করিতেন। কিন্তু ape সময় পাঠে নিয়োগ করিতেন, তাহা গভীর মনোযোগের সহিতই করিতেন। নিয়মিত অধ্যয়নের ফলে aye ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে বি.এস-সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৮৭ খৃষ্টাবে ডি.এস্‌ সি. ডিগ্রী লাভ করেন। তাহার রচিত প্রবন্ধ সর্বোৎকৃষ্ট বিবেচিত হওয়ায় তিনি ‘Hope Prize’ নামক সম্মানজনক পুরস্কারও লাভ করিয়াছিলেন। Q পুরস্কারের মূল্য পঞ্চাশ Wes, অর্থাৎ তখনকার দিনে প্রায় সাতখত টাকা ছিল। @ বৃত্তিলন্ধ অর্থে তিনি আরও ছয়মাস কাল এডিনবরাঁয় অবস্থিতি করিয়া Stata আরব রাসায়নিক গবেষণা শেষ করিতে পারিয়াছিলেন। এই সময়ে এক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাইবার আশায় তিনি “India before and after the Mutiny’ নামক এক প্রবন্ধ রচনা করেন। ইহাতে বৃটিশ রাজনীতির অনেক alta তীব্র ভাষায় নিন্দা করা হইয়াছিল। তাঁহার aay হয়ত বা এই দোষে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় তিনি পুরস্কার পান নাই বটে, কিন্তু এই প্রবন্ধ Asa প্রকাশিত হইলে ইহা অনেক বিখ্যাত রাজনীতিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং অনেক সাময়িক পত্রে ইহার প্রশংসা করা হয়। এই পুস্তক ক্ষুদ্র হইলেও, ভাঁরত সম্বন্ধে এত তথ্য ইহাতে সন্নিবেশিত হইয়াছে যে তাহা অন্যত্র পাওয়া দুর্ঘট। প্রেসিডেন্সী কলেজে প্রবেশ ও রসায়ন চর্চা ১৮৮৮ সালের আগষ্ট মাসে প্রফুল্পচন্ত্র স্বদ্বেশে প্রত্যাবর্তন করেন, এবং Atay প্রাদেশিক শিক্ষাবিভাগে নিযুক্ত হইয়া প্রেসিডেন্দী কলেজে পরবর্তী জুন মাস হইতে সহকারী অধ্যাপকের পদ প্রাপ্ত হন। প্রফুল্লচন্দ্রের পূর্বে অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ভিন্ন



Leave a Comment