বিশ্বভারতী পত্রিকা | Visvabharati Patrika

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্রকবিতার আধুনিকতা ৩ এর সঙ্গে তুলনীয় WAR? (১৮৯০)-র “মরণস্বপ্ন' কবিতার এই ছবি : SPA আকাশকায়া ক্রমে পড়ে মহাছায়া, নতশিরে বিশ্বব্যাপী নিশা গনিতেছে মৃত্যুপল-- এক, দুই, তিন। কোথাও রাখিতে নারি দেহ আপনার, সর্বাঙ্গ অবশ ক্লান্ত নিজ লৌহভারে। কাতরে ডাকিতে চাহি শ্বাস নাহি, স্বর নাহি, BMG চেপেছে অন্ধকার। বিশ্বের প্রলয় একা আমার মাঝারে। একই সুতীব্র সত্তাসংকটের ছবি আছে ছবি ও গান' (১৮৮৪)-এ। ‘Aer cary’ কবিতায় প্রেমের যে অ-রাবীন্দ্রিক দখলদারি মনোবৃত্তি (চ059০991"011০95) প্রকাশ পেয়েছে, সেই জোরালো ভঙ্গিটি একধরনের “অবসেশন” ছাড়া আর-কিছুই নয়। কিন্তু মনোভাবটি এবং তার বহিঃপ্রকাশের ধরণটি নিঃসন্দেহে আধুনিক-_ রোগের মতন বাঁধিব তোমারে / নিদারুণ আলিঙ্গনে-_ মোর যাতনায় হইবি অধীর, / আমারি অনলে দহিবে শরীর, অবিরাম শুধু আমি ছাড়া আর / কিছু না রহিবে মনে। গভীর নিশীথে জাগিয়া উঠিয়া / সহসা দেখিবি কাছে, আড়ষ্ট কঠিন মৃত দেহ মোর / তোর পাশে শুয়ে আছে। বুকের ভিতরে ছুরির মতন, / মনের মাঝারে বিষের মতন, রোগের মতন, শোকের মতন / রব আমি অনিবার। ওই একই কাব্যগ্রন্থের 'পোড়োবাড়ি' (অনেককাল পরে 'বীথিকা' (১৯৩৫)-তেও এ একই নামে আর-একটি কবিতা পাই), 'নিশীথজগৎ', 'নিশীথচেতনা' কবিতাগুলিও স্মরণীয়। freee’ কবিতায় রাত্রির যে ছবি আঁকেন কবি, তাতে ব্যক্তি হৃদয়ের Wo আর্তনাদই যেন বেজে ওঠে চাপা স্বরে-- চরণে বাধিছে বাধা, পাষাণে বাজিছে মাথা, Sieg বসিয়া-- অগ্নিহাসি উপহাসি উদ্কা-অভিশাপশিখা পড়িছে খসিয়া। তাদের মাথার "পরে সীমাহীন অন্ধকার BWA গগনেতে, আঁধারের ভারে যেন নুইয়া পড়িছে মাথা মাটির পানেতে। তেমনি '“নিশীথচেতনা” কবিতায় অন্ধকারের চিত্রকল্প-_ স্তব্ধ বাদুড়ের মতো জড়ায়ে অযুত শাখা দলে দলে অন্ধকার ঘুমায় মুদিয়া পাখা। একই সূত্রে মনে করা যেতে পারে “কড়ি ও কোমল' (১৮৮৬)-এর 'মানবহৃদয়ের বাসনা”, “অক্ষমতা” 'চিরদিন' কবিতাগুলি। এই কবিতাগুলিতে অন্ধকারের চিত্ররূপ অনেকক্ষেত্রেই সংকেতবাহী, তাৎপর্যপূর্ণ। 'মানবহৃদয়ের বাসনা” কবিতায় শ্মশান ও প্রেতচ্ছবি--



Leave a Comment