For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)কোম্পানি মুর্শিদাবাদ দরবারে উত্তরোত্তর প্রভাবশালী হয়ে উঠছিল ৷ নবাব
আলিবর্দি খান এই সব কায়েমী স্বার্থগুলিকে স্বীয় প্রতিভাবলে বশে রাখতে
পেরেছিলেন এবং বর্মিদের হটাতে এই সব প্রভাবশালী শক্তির সহযোগিতা
আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন ৷ তাঁর নাতি সিরাজউদ্দৌলাহ্ অধৈর্য তরুণ |
নবাব হয়ে তিনি এ সব কায়েমী স্বার্থগুলির উপর নিজের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব চাপিয়ে
দিতে তৈরি হলেন | বিদেশী কোম্পানিগুলিকেও ছাড়লেন না-_তারা যাতে
বাধ্য আরমানী সওদাগরদের মতো মোগল শাসনের আওতায় থাকে সে জন্য
তাদের কেল্লাগুলি তুঁয়ে ফেলে দিতে অগ্রসর হলেন ৷ ইংরেজদের কলকাতা
থেকে খেদিয়ে দিয়ে তিনি শহরের নতুন নামকরণ করলেন আলিনগর | নতুন নবাবের গণনায় ভুল হল । সুবাহ্ময় রটে গেল তিনি জগৎশেঠকে
থাপ্পড় মেরেছেন, আর মীরজাফর, রায় দুর্লভ ইত্যাদি বড়ো বড়ো মোগল
মনসবদারকে নিজের ইয়ার মোহনলালের বাড়ি সেলাম বাজাতে যেতে
বলেছেন | আরো শোনা গেল নবাব হবাঁর আগেই তিনি নাকি রাণী ভবানীর
মেয়ে তারাসুন্দরীকে হরণ করতে গিয়ে বিফল হন, আর নবাব হয়ে তিনি নাকি
বিষ্ণুপুরের রাজার বিরুদ্ধে ফৌজ পাঠাবার তোড়ভোড় করছেন | মনসবদার,
জমিদার, সওদাগর, মায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিগুলি oie সম্ত্রশ্ত হয়ে ওঠায়
Exe মোবারক টলে উঠল | সিরাজউদ্দৌলাহ্র বুঝতে এইখানে ভুল হয়েছিল যে সুবাহ্ বাংলায় নিরঙ্কশ
রাজক্ষমতার দিন চলে গেছে শওকৎ জঙ্গকে দমন করবার অভিযানে
বেরোতে গিয়ে তিনি জগৎ শেঠের কাছে তিন কোটি টাকা দাবি করেছিলেন ।
সে টাকা চেয়েও তিনি পাননি এটা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় ব্যাপার | বড়ো বড়ো
লোকদের কাছ থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা চাইলেই যে পাওয়া যায় না এ পেকে
তাঁর & হওয়া উচিত ছিল যে নিরষ্কশ রাজক্ষমতার দিন চলে গেছে |
HITT থাপ্পড় মারলেও সে দিন আর ফিরবে না, এই কাটা তিনি আস্তে
আস্তে বুঝতে পারলেন | কিন্তু যখন তাঁর ইশ হল তখন বড়ো দেরি হয়ে
গেছে। ততদিনে ই রেজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের মোগল রাজপুরুষরা চক্র
গঠন করে ফেলেছেন | তলে তলে এ রাজপুরুষদের সাহায্য করছেন দেশের
বড়ো বড়ো জমিদার । ইংরেজ ফৌজ এসে কলকাতা Yr করেছে।
তারপর চন্দননগর থেকে ফরাসীদের তাড়িয়ে দিয়ে হুগলী বন্দরের বাইরে
বিস্তৃত ময়দানে তাঁবু বিছিয়ে বসেছে | এই ফৌজ এসেছিল মাদ্রাজ থেকে ৷ এমনিতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানির হাতে এত টাকা বা ক্ষমতা ছিল না যে নবাবের সঙ্গে লড়াই করে |
প্রথম বার নবাব তাদের অনায়াসে কলকাতা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন । কিন্তু
এবার ইতিহাসের অদৃষ্টপূর্ব চক্র আবর্তনে ফ্রান্সের সঙ্গে ইংল্যান্ডের AG বর্ষের
যুদ্ধ বেধে যাওয়ায় ইংল্যাণ্ডের রাজার নৌবহর ও ফৌজ মাদ্রাজে এসে ইংরেজ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মদৎ করতে হাজির ছিল | মাদ্রাজে হাজির ওই ফৌজ
ফরাসী বন্দর পণ্ডিচেরী দখল করা স্থগিত রেখে একেবারে হুগলী নদী বেয়ে
উঠে এল | বিপদে দিশাহারা হয়ে নবাব শেষ মুহূর্তে মীর জাফর, জগৎশেঠ ও ১৩.