নীললোহিত-সমগ্র [খণ্ড-৩] | Nillohit-samagrah [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দৃষ্টিকোণ ৭ তবু আমি গলার শব্দ পরিষ্কার করে বললুম, মানি ব্যাগটা কার? এই মানি ব্যাগটা কার? কয়েকজন যাত্রী ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল। কেউ কোনো কথা বলল at আমি হাত উঁচু করে বললাম, এটা কার? কেউ কোনো সাড়া দিল না। আমি তখন অনেকটা আপন মনেই বললাম, কেউ বোধহয় নামার সময় ফেলে গেছে। কণ্ডাক্টরকে জমা দিয়ে আসি। তৎক্ষণাৎ সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে আমার মনে হলো, এই মুহূর্তে, যদি বাস থেকে নেমে পড়তে পারি, তাহলে এসব টাকাই আমার। ময়দানের পাশ দিয়ে চৌরঙ্গির ফাকা রাস্তায় বাস দুর্দান্ত “NG যাচ্ছে, আমি এসে পা-দানিতে দাড়ালাম। আর কয়েক মুহূর্ত, বাস LACH নেমে গেলেই আমি পথের জনতার সঙ্গে মিশে যাব। এত MACE যাচ্ছে যে আমার পক্ষে লাফিয়ে নামা অসম্ভব। আমি অধীর ভাবে প্রতীক্ষা করতে লাগলুম। এক হাজার টাকা? অবিশ্বাস্য? ব্যাগটা আমার হাতের BCI | কি চমৎকার তার স্পর্শ। আগুনে হাত দিলে হাত পোড়ে, অসাবধান হলেই টাকা হারায়, যে লোকটার টাকা হারিয়েছে--অসাবধানতার জনা তাকে তো ফল ভোগ করতে হবেই। আমার কি দোষ? আর সিগারেটের দোকানের সাতান্ন টাকা ধার কালই শোধ করে দেব, দিদিমার জন্যে একটা গরদের কাপড় কিনে নিতে হবে, বাবার ছবিটার কাচ ভেঙে পড়ে আছে কতদিন। এমনকি একথাও আমার এই মুহূর্তে মনে হলো, সব টাকাটা খরচ করব না, ব্যাগের মধ্যে লোকটার ঠিকানা তো আছেই, পরে কখনো ওকে টাকাটা ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এ পাশে অন্ধকার ময়দান, পার্ক স্াটের আলো দেখে বাসটা থামবেই, আমি মস্ত শরীর সজাগ করে রেখেছি একটু “AG কমলেই লাফিয়ে নেমে পড়ার জন্য। কিন্তু তার আগেই সিঁড়ি দিয়ে দূম দুম করে নেমে আসতে আসতে একজন ভারী চেহারার অন্যপ্রদেশী বলল, দে'রা পার্স কৌন লিয়া? মেরা পাস? একটা গভীর নিশ্বাস বেরিয়ে এস আমার। চোর পকেটমার ধরা পড়লে কী রকম মারধোর করা হয়, তা তো জানি। সর্বস্বাস্তের মতন উদাসীনভাবে মামি ব্যাগটা বাড়িয়ে দিলাম কোনো কথা না বলে। লোকটা লোভীর মতন হাত থেকে সেটা CBI / তলা থেকে আখ একটি লোকও এগিয়ে আসছিল, সে বলল, ক a করেছিলেন? আমি প্রায় ফিসফিস করে উত্তর দিলাম, না, কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। — কুড়িয়ে পেয়েছেন তো কারুকে জিজ্ঞেস করেননি কেন? fern করেছিলুম সত্যিই



Leave a Comment