ঢাকার ইতিহাস | Dhakar Itihas

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
XVI ১৭৬৫ ধ্রিস্টাব্দে কোম্পানির অধিকার হইলে হুজুরি ও নিজামত নামক দুই বিভাগ দ্বারা ঢাকা জেলা শাসিত হইতে থাকে। ছজুরি বিভাগের কার্য একজন দেওয়ান দ্বারা সম্পন্ন হইত। ইনি মুর্শিদাবাদে অবস্থান করিয়া একজন ডেপুটি দ্বারা জেলার কার্য সম্পন্ন করাইতেন। রাজস্বসংক্রান্ত সমুদয় কার্যই ডেপুটির হস্তে ন্যস্ত ছিল। নিজামত বিভাগ দ্বারা ফৌজদারি ও আদালতের কার্য সম্পন্ন হইত। ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ছজুরি ও নিজামত এই উভয় বিভাগের তত্ত্বাবধান করার জন্য একজন রাজস্ব-পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ইহাকেই কালেক্টর উপাধি প্রদান করা হয়। এঁ সনে মহম্মদ রেজা খার নিকট হইতে দেওয়ানি বিভাগের কার্য হস্তান্তরিত করিয়া ঢাকায় দেওয়ানি আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। কালেক্টর দেওয়ানি আদালতের সুপারিনটেন্ডেন্ট হন। ১৭৭৪ থিস্টাব্দে প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজস্ব আদায় ও দেওয়ানি আদালতের কার্যানর্বাহ করার জন্য নায়েব পদের সৃষ্টি হয়। মন্ত্রিসভা দেওয়ানি আদালতের নিষ্পত্তির বিচার করিবার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা উঠিয়া গিয়া কালেক্টরি ও দেওয়ানি আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালে ঢাকার কালেক্টর “চিফ” নামে অভিহিত হইত। এইসময়ে ঢাকা জেলার আয়তন ছিল ১৫৩৯৭ বর্গ মাইল। ক্রমে ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা প্রভৃতি স্থান ঢাকা BCFA হইতে পৃথক হইয়া যায়। ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর এবং ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে বাকরগঞ্জ ঢাকা হইতে বিচ্ছিন্ন হয়। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রীহট্ট ও কাছাড় জেলাদ্বয় ঢাকা বিভাগ হইতে পরিত্যক্ত হয় এবং ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরা জেলাকে ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা Bi ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরাও ঢাকা বিভাগ হইতে পরিত্যক্ত হইয়াছে। ইংরেজ শাসন সময়ে সন্ন্যাসী-বিদ্রোহ ও সিপাহী-বিদ্রোহ বাতীত এতদ্দেশে অন্য কোনও অন্তর্বিন্লৰ উপস্থিত হয় নাই। ১৯০৫ সনে শাসন-সৌক্কর্যার্থে বঙ্গদেশ দ্বিধাবিভক্ত করিয়া ঢাকায় পূর্ববঙ্গের রাজধানী সংস্থাপিত হয় কিন্তু সমগ্র বঙ্গব্যাপী তুমুল আন্দোলনের ফলে AMA ভারত-সমাট ভারতবর্ষে শুভাগমন করিয়া বঙ্গবিচ্ছেদ রহিত করিয়া দেন। ফলে ঢাকার প্রাদেশিক রাজধানী পুনরায় বিলুপ্ত হয়। থ্রিস্টিয় সপ্তম শতাব্দীতে এতদঞ্চলে যে বৌদ্ধধর্ম আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিল, অদ্যাপি তাহার জের মিটে নাই। এই বিষয় যথাস্থানে আলোচিত হইবে। তৎকালে শত শত বৌদ্ধবিহার, চৈত্য ও সংঘারাম হইতে ভগবান অমিতাভের সাম্যসংস্থাপক নির্বাণমুক্তির অমিয়বাণী প্রতিনিয়ত প্রতিধ্বনিত 286 1 আসরফপুরের তাভ্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায়, WAIT রাজা CHITA শাসন সময়ে আসরফপুরের অনতিদূরবত্তী স্থানে “বুদ্ধমণডপ” প্রতিষ্ঠিত ছিল। উহারই সন্নিকটস্থিত “বিহার বিহারিকা চতুষ্টয়” একগঞ্ডিভুক্ত করিয়া কুমার রাজরাজ ভট্টের আয়ুষ্কামনার্থে আচার্যবৃন্দকে দশ দ্রোণাধিক নব পাটকভূমি প্রদান করা হইয়াছে। অপর শাসনভূমি “রত্বত্রয়োদ্দেশ্যে” শালিবর্দকন্থিত আচার্য সংঘামিত্রের বিহারে প্রদত্ত হইয়াছে। পরমসৌগত পুরোদাস কর্তৃক তাম্রফলক উৎকীর্ণ হইয়াছে। ইদিলপুরের নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসন পাঠে জানা যায়, শ্রীবিক্রমপুর সমাবাসিত জয়ঙ্কন্ধাবার হইতে পরমসৌগত মহারাজাধিরাজ শ্রীত্রৈলোক্যচন্দ্র দেব পাদানুধ্যাত পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ শ্রীমান শ্রীচন্দ্রদেব কুশলী সতট পনদ্মবাটি anes কুমার তালকা মণ্ডল মধ্যবর্তী লেলিয়া প্রাম দান করিয়াছেন। বঙ্গসাহিত্যে aaafes প্রথিতযশা শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় বলেন, বাজাসনের পার্শ্ববর্তী নাম্নার গ্রাম মুণ্ডিতশীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুর বাসস্থান ছিল। মুণ্ডিত-মস্তক পুরুষকে এতদঞ্চলবাসী জনগণ এখনও “NBM” বা শুধুই “নাইয্না” এবং উক্তরূপ স্ত্রীলোককে “ARITA” বা শুধুই “নান্নী” বলিয়া থাকে। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে “নাণ্ডা Per” শব্দ অনেক স্থলেই YS হয়। আধুনিক চলিতভাষায় “নাড়া মুড়া”। “নান্না” ও “ATA” শব্দ এ অপদ্রংশ



Leave a Comment