কালো পর্দার ওদিকে | Kalo Pardar Odike

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অমিত বলছে, কারুরই যাবার দরকার নেই, সে একা ঘুরে আসবে | শেষ ATE বাবার কাছে যাওয়া হল | বাবা আজ সকালে বেশ ভালই আছেন | আশ্চর্য ব্যাপার, বাবা কিন্তু ইরানির যাওয়া সম্পর্কে কোনো আপত্তি জানালেন না | তিনি বললেন, “অমিতের পরীক্ষা নষ্ট করবার কোনো মানে হয় না | ইরানি আর দিপুই ঘুরে আসুক | আজকালকার মেয়েরা প্লেন চালাচ্ছে, রকেটে করে স্পেসে ঘুরে আসছে, আর ইরানি সামান্য বর্ধমান ঘুরে আসতে পারবে না ? CHA, তোরা গিয়ে আজই ফেরার চেষ্টা করিস না । রাত্তিরটা ওখানেই থেকে যাবি | কাল সকালে আবার ট্রেনে চাপবি | ওখানে এককড়ি আছে, মধু-কেষ্ট আছে, থাকার কোনো অসুবিধে হবে Al | আর যদি দেখিস দাদা সত্যিই খুব অসুস্থ, তা হলে দাদাকে সঙ্গে নিয়ে আসবি | কিংবা যদি মনে করিস, দু' একদিন থেকে যাওয়া দরকার, তাও থেকে যেতে পারিস | আমাদের টেলিগ্রাম করে খবর দিবি |” ইরানি সঙ্গে সঙ্গে একটা ব্যাগে জামাকাপড় গুছিয়ে ফেলল | মা অবশ্য শুধু ইরানি আর দিপুকে ছাড়লেন না, সঙ্গে দিয়ে দিলেন রঘুকে | রঘুর বয়েস পনেরো, সে দিপুর থেকে খানিকটা বড় আর ইরানির থেকে একটু ছোট | অমিত বুঝিয়ে দিল ট্রেন থেকে নেমে কোথায় বাস ধরতে হবে আর কোথায় নামতে হবে | মা বলেছিলেন ট্যাক্সি নিতে | কিন্তু বাড়ি থেকে বেরিয়েই ইরানি বলল, “বাজে পয়সা খরচ করবার কোনো মানে হয় না । আমরা মিনিবাসে যাব 1” সকাল সাড়ে আটটা বাজে | এর মধ্যেই অফিস-যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়ে গেছে | ওরা লাইন দিয়ে মিনিবাসে উঠল | হাওড়া স্টেশনে এসে ওরা প্রথমে একটু দিশাহারা হয়ে গেল | এত বড় স্টেশন, কোথায় টিকিট কাটার জায়গা ? যেখানে CHS ক্লাসের টিকিটঘর, সেখানে অনেকগুলো কাউণ্টার | মেমারির টিকিট কোন্টা থেকে পাওয়া যাবে ? প্রত্যেক কাউণ্টারের মাথায় অনেক ১৮



Leave a Comment